টেলিটকের সেবার মান বৃদ্ধিতে নিরলস নুরুল মাবুদ

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৪

সেলিনা আক্তার:

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশ এর একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠান এর কাছে দেশের মানুষের অনেক আশা দেশের মানুষের আশা পূরণ করার জন্য শত সমস্যার মধ্যেও একদল দক্ষ কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আর এই দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান দূরদর্শিতা সম্পন্ন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

চলতি বছরের ২ জুন থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসবে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক পরিচালক পদে কাজ করছেন এরমধ্যে রয়েছেন নুরুল মাবুদ চৌধুরী। তিনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও নানা জটিলতায় থেমে যাচ্ছে অনেক কার্যক্রম। তবে বেশ কিছু পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
টেলিটক গ্রাহকরা বলছেন, এখনও টেলিটকের অনেক নেটওয়ার্ক জটিলতা রয়েছে। জানা যায়- নুরুল মাবুদ চৌধুরী সমস্যা থেকে উত্তরণ পথ চেষ্টা শুরু করেছেন। কারণ তিনি টেলিটক এর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই টেলিটলক এর সঙ্গেই আছেন তাই উনি এই বিষয়ে খুব ঢক্ষোত্ত সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

টেলিটক ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫৫০টি নতুন টাওয়ারে ৪জি আপগ্রেডেশন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টেলিটকের সেবার মান উন্নত হবে এবং গ্রাহকরা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
রিটেইলাররা জানান, আগের চেয়ে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে, সেবার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে মাই টেলিটক অ্যাপসে এমবি দিয়ে লগইন করা লাগতো বর্তমানে ডাটা ছাড়াই অ্যাপসে প্রবেশ করতে পারছি। নতুন করে অনেক প্যাকেজও যুক্ত হয়েছে।

গ্রাহকরা আরও বলছেন, টেলিটকের নেটওয়ার্ক জটিলতা কাটাতে বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন- নতুন টাওয়ার স্থাপন, পুরোনো টাওয়ারগুলোতে ৪জি আপগ্রেডেশন এবং ফাইবার অপটিক সংযোগের সম্প্রসারণ করার হলেও এটি এখনও ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় টেলিটকের বাজেট ও বিনিয়োগ সংকট, অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিলম্ব এবং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এর নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে বলেও মনে করছেন তারা।

ব্যাটারি ব্যাকআপ সুবিধা না থাকায় টেলিটকের অনেক টাওয়ার বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই ব্যাপারে বর্তমান এমডি আসার পরেই একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে দ্রুতই কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাসিক গ্রাহক সংখ্যার তথ্যমতে, বর্তমানে ৬৫ লাখ গ্রাহক রয়েছেন টেলিটকের, যা অন্যান্য মোবাইল অপারেটরের তুলনায় খুবই কম। আর তাই টেলিটকের সেবার মান বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে

* টেলিটকের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ টেলিটক’ করতে হবে, যার মাধ্যমে টেলিটকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে অনুপ্রেরণা পাবেন।

* টেলিটকের ধীরগতিতে চলা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতে দেশের স্বার্থ ও টেলিটকের ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা করে বিনিয়োগ গ্রহণ করতে হবে। টেলিটকের নেটওয়ার্ক অন্যান্য অপারেটরের মতো দেশের সব জায়গায় স্থাপন করতে হবে।

* গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় কম খরচে নির্দিষ্ট মেয়াদ ছাড়া ফোন কল ও ডেটা প্যাকেজ চালু করতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহকসংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিপণন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক পরিধি বাড়াতে হবে। বিপণন ও বিক্রয় বিভাগগুলোকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।

* ব্যাটারি ব্যাকআপ সুবিধা না থাকায় টেলিটকের অনেক টাওয়ার বন্ধ হয়ে যায়।ব্যাটারি ব্যাকআপ সুবিধা বাড়াতে হবে

* মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে টেলিটকের প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার করা প্রয়োজন। কাজের গতি ও স্বচ্ছতা, দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে।

* গ্রাহকেরা যাতে দেশের সব এলাকায় টেলিটকের সিম ও রিচার্জ কিনতে পারেন, সে জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টেলিটকের সিম ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।