মৌসুমের আগেই ডেঙ্গু চোখ রাঙাচ্ছে। শহর-ভিত্তিক সমস্যা হলেও ডেঙ্গু এখন সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য-সচেতনতার অভাব যে এর প্রকোপের জন্য অনেকাংশে দায়ী তাতে সন্দেহ নেই। ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা নেই। তারমানে এই নয় যে হাসপাতালে যাবেন না।
ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গুর প্রাথমিক কিছু উপসর্গ দেখলেই দেরি করা যাবে না। দ্রুত হাসপাতালে চলে যাবেন। এ বিষয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নিয়াতুজ্জামান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
- জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেকোনো জ্বরই যে ডেঙ্গু, তা-ও নয়। ডেঙ্গু হয়েছে ধরে নিয়ে নিজে নিজে পরীক্ষা করাতে গেলে জ্বরের অন্য সাধারণ কারণ, যেমন নিউমোনিয়া, প্রস্রাবে সংক্রমণ, টাইফয়েড, ফ্লু ইত্যাদি অজানা থেকে যায়।
- ডেঙ্গু জ্বরে প্রথম দিন থেকে পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কাজেই নিজে নিজে পরীক্ষা করালে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে চিকিৎসককে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে ঠিক কবে প্রথম জ্বর এসেছিল, মনে রাখুন।
- ডেঙ্গু এনএস১ নেগেটিভ হলেই যে ডেঙ্গু হয়নি, তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা কঠিন। লক্ষণ, উপসর্গ ও অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেকে একদিন একটা ল্যাবে এনএস১ পজিটিভ দেখে হয়তো পরদিন বা দুদিন পর আরেকটা ল্যাবে গিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট পান। এতে আরও বিভ্রান্তিতে পড়েন তারা। মনে রাখতে হবে, এনএস১ পরীক্ষা প্রথমে পজিটিভ এবং দু-এক দিন পর নেগেটিভ হয়ে যাওয়া বিচিত্র নয়।
- ডেঙ্গুর অ্যান্টিজেন বা অ্যান্টিবডির সঙ্গে অন্যান্য অনেক পরীক্ষা আছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন শ্বেতরক্তকণিকা, হিমাটোক্রিট, অণুচক্রিকা, রক্তের অ্যালবুমিন, যকৃতের এনজাইম এসজিপিটি ইত্যাদি।