ঢাবি ক্যাম্পাসে ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দেওয়ায় শিক্ষক সমিতির নিন্দা

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৪

ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতি দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে বিকৃত করে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পক্ষে আন্দোলনকারী একদল শিক্ষার্থী যেভাবে রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘আমি কে, তুমি কে, রাজাকার-রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়েছে, তা আমাদের ব্যথিত, লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এই স্লোগান দেওয়ার মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি অশ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে ২ থেকে ৬ লাখ নির্যাতিত নারীর প্রতি।

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই স্থানে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন পরিচালনাকারী রাজাকারের পক্ষে স্লোগান দেওয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। কোনও অজুহাতেই রাজাকারের পক্ষাবলম্বন ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অবমাননা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ গ্রহণ করবে না।

কোটা বাতিলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভুলুণ্ঠিত করার প্রয়াস রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে শিক্ষক সমিতি বলে, মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং রাজাকারদের পক্ষাবলম্বনকারী সব অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার জন্য দেশবাসীকে এবং সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

রবিবার (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যকে ঘিরে ওই দিন মধ্য রাতে তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস।