ডেস্ক রিপোর্টঃ
নির্বাচনের পরই তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র নাউরু। গতকাল সোমবার দেশটির সরকার সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে জানায়, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে নাউরুর প্রেসিডেন্ট ডেভিড আদেয়াংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নাউরু প্রজাতন্ত্র আর তাইওয়ানকে একটি পৃথক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না বরং চীনের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। পাশাপাশি তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। এই পরিবর্তন কোনোভাবেই অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের বিদ্যমান উষ্ণ সম্পর্ককে প্রভাবিত করার জন্য নয়। আমাদের সরকার নাউরুকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়ী। এই পরিবর্তনটি নাউরুর উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন দলটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী চীনবিরোধী উইলিয়াম লাই চিং-তে। নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট আগামী মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন।
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ চীনের
তাইওয়ানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইকে অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। সে সঙ্গে নির্বাচনের পর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরকেও ভালোভাবে দেখছে না দেশটি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, এর মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানানোর কথা ছিল না ওয়াশিংটনের। এদিকে, শুধু অভিনন্দন জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচন-পরবর্তী অবস্থা দেখতে তাইপেতে নিজেদের পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টি বেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বেইজিং।
সামরিক স্থাপনা করবে ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক অবকাঠামো তৈরির কথা জানিয়েছে ফিলিপাইন। দেশটির সেনাপ্রধান রোমিও ব্রাউনার গতকাল সোমবার জানান, সাগরে ফিলিপাইন নিয়ন্ত্রিত দ্বীপ আয়ুনজিনে নতুন সামরিক অবকাঠামো তৈরি করবে। দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের কর্তৃত্ব নিয়ে ফিলিপাইন ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে এ ঘোষণা এলো। জানা যায়, সেনাদের আবাসন তৈরি করা হবে ঐ দ্বীপে। সাগরে এ ধরনের আটটি দ্বীপ নিজেদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পড়ে বলে দাবি করে আসছে ফিলিপাইন। আয়ুনজিন দ্বীপটি দ্বিতীয় থমাস শোল এবং স্থানীয়ভাবে আয়ুঙ্গিন নামে পরিচিত। এটি দক্ষিণ চীন সাগরের বৃহত্তম এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীপ। সেনাপ্রধান জানান, সেনাদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে একটি ডিস্যালিনেশন যন্ত্র স্থাপন করা হবে দ্বীপটিতে। তাছাড়া, অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা থেকে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিতে জাহাজ, রাডার এবং বিমান প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে দেশটি। যার অংশ হিসেবে দ্বীপটিকে ব্যবহার করবে ফিলিপাইন। —বিবিসি ও রয়টার্স