লাইফস্টাইল ডেস্ক রিপোর্টঃ
সারাদেশেই বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এই তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে নিজের প্রতি বাড়তি যত্নশীল হতে হবে। নয়তো অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। এই গরমে বাইরে যাওয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা এসময় সবাইকে হাইড্রেটেড থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে তা আরও অনেক অসুখ ডেকে আনতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের সময়ে আমিষ-নিরামিষ খাবার খাওয়া সীমিত করা উচিত এবং এর পরিবর্তে ফল, শাক-সবজি এবং পানীয় বেছে নেওয়া উচিত। যা ডিহাইড্রেশন এড়াতে এবং শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই খাবার নির্বাচনের সময় এদিকে খেয়াল রাখুন।ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ তরল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গরমের অসুস্থতা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় এই পাঁচটি শীতল পানীয় যোগ করুন-
লেবুর শরবত- ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ লেবুর শরবত তাপপ্রবাহের সময় হাইড্রেশনের একটি চমৎকার উৎস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসময় চা এবং কফির মতো পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলো ডিহাইড্রেশন এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। লেবুর শরবত চা এবং কফির মতো গরম পানীয়ের ভালো বিকল্প হতে পারে। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে কাজ করে।
বাটারমিল্ক- বিশেষজ্ঞরা এসময় বাটার মিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কারণ এটি শরীরকে ভালোভাবে হাইড্রেট করে। হঠাৎ তাপপ্রবাহের সময়ে কার্বনেটেড কোমল পানীয়ের বদলে বাটারমিল্ক পান করুন। কারণ এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অপরদিকে কোমল পানীয় শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি করতে পারে।
শসা এবং পুদিনার পানি- গরমের সময়ে আরেকটি সতেজ পানীয় হতে পারে শসা এবং পুদিনার পানি। এটি আপনাকে ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। পরিষ্কার পানিতে কিছু পুদিনা পাতা ও শসার টুকরা কেটে মিশিয়ে দিন। এরপর সেই পানি অল্প অল্প করে পান করুন। এতে স্বস্তি পাবেন।
ডাবের পানি- ডাবের পানি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি গরমের সময়ে সবচেয়ে উপকারী পানীয়ের মধ্যে একটি। এটি শুধুমাত্র শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট ধারণ করে না, সেইসঙ্গে আমাদের হাইড্রেটেড রাখতেও কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন এক গ্লাস ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেন।
সবজির রস- শরীর সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে আপনার খাদ্যতালিকায় সবজির রস যোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে গাজর, বিটরুটের মতো সবজির রস পান করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।