তীব্র দাবদাহে পশ্চিমবঙ্গের আট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের কমলা সর্তকতা জারি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
তীব্র ও অসহ্য গরমে কাহিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সব জায়গায় গরমের অস্বস্তি। সূর্যের তেজ কমা তো দূরের কথা, প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। বেলা যত বাড়ছে সূর্যের চোখরাঙানি তত বাড়ছে। স্বাভাবিকের থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অন্তত পাঁচ ডিগ্রি বেশি হওয়ায় তাপপ্রবাহের কবলে পড়লো কলকাতা। শনিবার কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, কলকাতার এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
আলিপুরের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে পারে। আট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এমনকি, পশুপাখিদের সুস্থ রাখতে ওআরএস পানির (লবণ-চিনি মেশানো পানি) ব্যবস্থা রেখেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
মেদিনীপুরের মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর পারদ ছুতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের দাপট থাকবে দুই দিনাজপুর, মালদহ, পুরুলিয়া,বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেশকিছু অঞ্চলে। আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক সোমনাথ দত্ত জানান, এই হাড় পোড়ানো দাবদাহ আরও দুই থেকে তিন দিন থাকবে। শনিবার ও রোববার এই দুইদিন কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দার্জিলিং, ডুয়ার্স, কোচবিহার কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা অথবা বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার বাসিন্দা তন্দ্রা পাল বলেন, গরমে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। গতকাল পরিচিত এক লোক আমার সামনেই মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন। এমন পরিস্থিতিতে মশলাদার খাবার একদমই খাচ্ছি না। খুব হালকা খাবার খাচ্ছি, সেই সঙ্গে বেশি করে পানি পান করছি। দিন মজুরে রাজেশ চৌধুরী বলেন, যতই সতর্ক থাকি না কেন, এই প্রখর রৌদে বাইরে কাজ করতে ভীষণ কষ্ট হয়। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। এই গরমে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছে না তারা। সুস্থ থাকার জন্য বেশি করে লবন ও চিনি মেশানো পানি পান করছি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে সব কাজ সকাল ১০টার মধ্যে সেরে ফেলা উচিত। বিশেষ কোনো কাজ না থাকলে ঘরের থেকে বের না হওয়ায় ভালো। একান্ত জরুরি কোনো কাজে বাইরে বেরোলেও ফুলহাতা জামা, ছাতা, চোখে কালো চশমা পরতে হবে। মাথা-মুখ-নাক সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ও অবশ্যই সঙ্গে লবণ-চিনি মেশানো পানি সঙ্গে রাখতে হবে। তারা আরও বলেন, গরমে একদমই খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। বাজারে কেটে বিক্রি করা ফল খাওয়া যাবে না। তবে বাড়িতে তরমুজ, পেঁপে- এই ধরনের ফল বেশি করে খেতে হবে। বারবার চোখে মুখে শীতল পানির ছিটিয়ে নিতে হবে। রাস্তায় বের হলে ঠাণ্ডা পানিতে রুমাল ভিজিয়ে মুখ, গলাও ঘাড় মুছতে হবে।