ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামের তেলবাহী জাহাজ বিস্ফােরণে অগিকাণ্ডের ঘটনায় নিখােঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলেন- জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল (৫৫), মাস্টার রুহুল আমিন (৪৭) ও চালক সরওয়ার হাসান আকরাম (৪৫)। এর আগ  গতকাল রোববার (২ জুলাই) উদ্ধার করা হয়ছিল গ্রিজার আব্দুস ছালাম হৃদয়ের (২৭) মরদেহ। আজ সোমবার (৩ জুলাই) রাতে নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার।

তিনি বলেন, আজ সোমবার (৩ জুলাই) পৃথক সময়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নিখােঁজ চারজনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হলাে। এদিক সাগর নন্দিনী-২ থেকে সাত লাখ লিটার পেট্রােল পদ্মা অয়েল কােম্পানিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার জানান, বিস্ফোরণে নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজটির পেছনের অংশ উদ্ধারে আজ সােমবার সকালের দিকে কাজ শুরু করা হয়। বেলা ১১টার দিকে জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাস্টার রুহুল আমিন এবং বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাহাজের চালক সরওয়ার হাসান আকরামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরআগে গতকাল রোবাবর দুপুর ২টার দিকে জাহাজের পেছনের ইঞ্জিন রুমের ভেতর থেকে গ্রিজার আব্দুস ছালাম হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়ছিল।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক ও উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের কমান্ডার মাে. সেলিম বলেন, ডুবন্ত অংশটি ওপরে না ওঠানো পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ওসি নাসির উদ্দিন জানান, নিহতদের স্বজনদের অভিযােগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউই অভিযােগ করেননি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে সাগর নন্দিনী-২ তেলবাহী জাহাজ বিস্ফােরণে মাস্টার ব্রিজ ও স্টাফ কেবিনসহ পেছনের ইঞ্জিন রুমের উপরিভাগ নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় চারজন নিখােঁজ ছিলেন। নিখােঁজদের সন্ধানে গতকাল রোববার থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরিদল উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। সন্ধ্যায় উদ্ধারকারী বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ ‘নির্ভীক’ নদীতে পৌঁছায়। এবং উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।