ত্রিপলী থেকে অপহৃত ১১ বাংলাদেশি, উদ্ধারে কাজ করছে দূতাবাস

প্রকাশিত: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

ত্রিপলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্প্রতি তুলে নেওয়া ১১ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারে দূতাবাস স্থানীয় পাবলিক প্রসিকিউটরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।

 

ত্রিপোলীর বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। দূতাবাস জানায়, লিবিয়া নিয়মিত কনস্যুলার ও কল্যাণসেবা দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূতের নির্দেশনায় জনকূটনীতি ও প্রবাসীদের কল্যাণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

সম্প্রতি দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) লিবিয়ার বিপ্লব দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই অংশগ্রহণ উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

এদিকে, দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) আইওএম লিবিয়া কর্তৃক তিউনিশিয়ায় আয়োজিত অভিবাসীদের পরিচয় শনাক্তকরণ সংক্রান্ত দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এতে অভিবাসীদের সুরক্ষা ও পুনর্বাসন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অন্যদিকে দূতাবাসের প্রথম সচিবের (শ্রম) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি লিবিয়ার জাওয়াইয়া হাসপাতালের মর্গ পরিদর্শন করে। এ সময় তারা মর্গে থাকা মৃতদেহগুলো প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশি অভিবাসীদের পরিচয় শনাক্তকরণের প্রচেষ্টা চালান। পাশাপাশি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশি নাগরিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া, লিবিয়ার জোয়ারা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে স্মৃতিশক্তিহীন অবস্থায় থাকা এক বাংলাদেশির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দূতাবাস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ার সুরমান শহরে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় অপহরণ থেকে উদ্ধার করা ৫ জন বাংলাদেশিকে দূতাবাস গ্রহণ করে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। ২০ ফেব্রুয়ারি তাজুরার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকা আরও ২ জন বাংলাদেশিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

অপরদিকে দূতাবাস তিউনিশিয়ার তাতাউইন শহরে আটকে পড়া ১৩ জন বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত করে তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু করেছে। তাদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে আইওএম তিউনিসিয়ার নিকট আউটপাস হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে