মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার নোয়াদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের দফতরি স্বপন সরকারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে মরদেহটি থানায় আনা হয়।
এ সময় স্বজনরা থানার ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় ভ্যানের ওপর রাখা বাবার মরদেহ পাহারা দিচ্ছিল ছেলে সামি সরকার (১০)। টংগিবাড়ী থানার সামনে বাবার মরদেহ রাখা ভ্যান ধরে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
নিহত স্বপন সরকার মুন্সিগঞ্জ সদর থানার সুধারচর গ্রামের পেমানন্দ সরকারের ছেলে। রাতে তিনি বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে থাকতেন। তার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সামি ও সেওয়াগ নামে তাদের দুই ছেলে রয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় আজও বিদ্যালয়ে আসি। প্রতিদিন দফতরিই তালা খোলে, আজ দেখি তালা মারা। পরে আমি তালা খুলে আমার রুমে প্রবেশ করি। তারপর তার রুমে গিয়ে দেখি ফ্যান চলছে এবং সে শুয়ে আছে। তারপর তাকে ডাকাডাকি করলেও সে আর ওঠেনি। পরে আমি বিদ্যালয়ের পাশের দোকানদারকে ডেকে আনি ও থানায় খবর দেই।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রীর ভাই রিপন হালদার বলেন, স্বপন সরকার ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। হয়তো তার রক্তের সুগার নিল হয়ে গিয়েছিল অথবা তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে টংগিবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
