দিলীপ ঘোষের নতুন জীবন শুরু, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

৬১তম জন্মদিনের ঠিক আগের সন্ধ্যায় জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার সল্টলেকের নিজ বাড়িতে দলীয় নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ে করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক। শনিবার (১৯ এপ্রিল) তার ৬১তম জন্মদিন হলেও, আগের দিনেই দিলীপ ঘোষ জীবনের বড় সিদ্ধান্তটি নেন।

দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রিঙ্কুর পরিচয় হয়েছিল ২০২১ সালে। চার বছর পর সেটি রূপ নেয় পরিণয়ে। রিঙ্কু বর্তমানে সল্টলেক নিউটাউনের বাসিন্দা। আর দিলীপ ঘোষের আদি বাড়ি ঝাড়গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে সল্টলেকেই বসবাস করছেন। তার ৮৫ বছর বয়সী মা থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। ছেলের বিয়ের আয়োজনে অংশ নিতে তিনি কয়েক দিন আগেই কলকাতায় চলে আসেন।

জানা গেছে, মা ও ঘনিষ্ঠজনদের অনুরোধেই অবশেষে বিয়েতে রাজি হন দিলীপ ঘোষ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) আদর্শে দীক্ষিত হওয়ায় এত দিন ‘অবিবাহিত’ থাকার সিদ্ধান্তে ছিলেন তিনি। তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে ভেঙেছেন দীর্ঘদিনের প্রতিজ্ঞা।

দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু আগে একবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বহু আগেই তার ডিভোর্স হয়ে গেছে। রিঙ্কুর একটি ছেলে রয়েছে, নাম সৃঞ্জয়। মায়ের নতুন জীবনের সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন জানালেও, কর্মব্যস্ততার কারণে বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে।

হিন্দু রীতিনীতিতে অত্যন্ত ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাধারণত হিন্দু মেয়েদের বিয়ে হয় তাদের বাপের বাড়ি থেকে, তবে রিঙ্কুর বিয়ে হয়েছে দিলীপ ঘোষের নিজ বাড়ি থেকে। বিয়ের দিন রিঙ্কু সাজেন লাল বেনারসি ও ঐতিহ্যবাহী অলঙ্কারে, মাথায় শোলার মুকুট পরে নববধূর সাজে পৌঁছে যান পাত্রের বাড়িতে। দিলীপ ঘোষও পরেন ধুতি-পাঞ্জাবি ও শোলার টোপর। গলায় থাকে রজনীগন্ধা ও লাল গোলাপের মালা।

বিয়েতে খুব বেশি আয়োজন ছিল না। ঘনিষ্ঠ কিছু আত্মীয় ও বিজেপির কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে দলীয় কর্মীদের অনুরোধে বিবাহোত্তর একটি অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিয়ের পর দিলীপ ঘোষের বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা, শমিক ভট্টাচার্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকেই। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফুল ও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান।

বিয়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ জানান, এই বিশেষ দিনটির জন্য তিনি এক দিনের ছুটি নিয়েছেন। তবে পরদিন থেকেই তিনি আবার দলের কাজে মন দেবেন, কারণ তিনি আজও একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তিনি বলেন, মায়ের অনুরোধ এবং রিঙ্কুর প্রস্তাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে রিঙ্কু বলেন, এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো নির্জন জায়গায় যাবেন তারা। কারণ, দিলীপ ঘোষ যেখানে যান, সেখানেই জনসমাগম হয়।