দুর্নীতির অভিযোগ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণের দাবি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

সেলিনা আক্তার:
দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল মাওলার অপসারণ দাবি করেছে স্টার্ক ব্যাংকার্স ফোরাম বাংলাদেশ৷শনিবার (১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়৷
লিখিত বক্তব্যে স্টাক ব্যাংকার্স ফোরামের আহ্বায়ক বি এম আনোয়ার হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক মাফিয়া এস আলমের প্রত্যক্ষ সহযোগী ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল মাওলা। তিনি ২০১৭ সালের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন, হেড অব কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট উইং, সর্বশেষ এমডি হিসেবে অবৈধ বিনিয়োগে প্রসেসিং এর নির্দেশদাতা ও অনুমোদনকারী ছিলেন৷ তিনি বেনামি হিসাব ব্যবহার করে সরাসরি নগদ অর্থ আত্মসাৎ, বিকাশ হুন্ডির মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা বিদেশে পাচারসহ বিভিন্ন অপকর্মে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এসবিএলসির সহজ প্রচলন, শিল্প কাঁচামালের জন্য ১৮০ দিনের ডেফাট, এলসির ক্ষেত্রে ২৭০ দিন পর্যন্ত বর্ধিতকরণ, মেশিনারিজ এলসির ক্ষেত্রে পেমেন্টের সময়সীমা এক বছর থেকে বাড়িয়ে কয়েক বছর পর্যন্ত করে। এছাড়া বৈদেশিক ইউপাস এলসির বিপরীতে রি-ফিনান্সিংয়ের সুযোগ ও সময় বর্ধিত করে নেয় এস আলম গং।তিনি বলেন, ২০১৭ সালের আগেই ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার বিনিয়োগ গ্রাহক এস আলমের তিনটি প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণ ছিল ৩ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। ২০১৭ থেকে এস আলম ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের প্রতিষ্ঠান ও ঋণের পরিমাণ দুটোই বাড়াতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্লেসমেন্টের নামে রক্ষিত ৭২৫ কোটি টাকার বিপরীতে পরোক্ষভাবে এস আলম গ্রুপে নিয়ে আসে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিস লিমিটেড থেকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি ব্যাংকে নিয়েছে ৩৯৬ কোটি টাকা। যেটা অবৈধভাবে এমটিলিয়ার করে রাখা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাফিটি ফার্ম থেকেও ৩৫০ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার সেভিংস বন্ডে বিনিয়োগ করেছে এস আলম। এছাড়াও গত সাত বছরে সিএসআরের নামে ৪১২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।