দেবীগঞ্জ পৌরসভার ৩৯ হাজার টাকার লাইট কেনা হয় ১ লাখ ২০ হাজারেঃ দুদকের অভিযান
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,পঞ্চগড়ঃ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১৫০টি সোলার স্ট্রিট লাইট কেনা হয়। সে সময় এর দাম ধরা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। প্রতিটি লাইট কেনা হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়। লাইট লাগানোর অল্প কিছুদিন পরই নষ্ট হতে শুরু করে। এ নিয়ে বার বার অভিযোগ আসায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঠাকুরগাঁও। এরপর সম্প্রতি তারা এর সত্যতা পায়।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাওরাত টেকনোলজির সোলার পিভি (মডেল নম্বর ইএসএম ১২৫ ওয়ার্ড) এর লাইট পৌরসভায় ব্যবহার করা হয়েছে যার প্রতিটির বাজার মূল্য ৩৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মশক নিধন কাজের ওষুধ ক্রয়ে প্রতি ড্রামে বাজার মূল্যের অতিরিক্ত দামে ক্রয়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে দেবিগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আলতাফ বলেন, এ লাইনটি ২০২০ সালের কমিটিতে কেনা হয়েছে। আমরা নতুন কমিটিতে এসেছি। এ লাইটগুলো আমরা শুধু হাতে পেয়েছি। আমি জানতে পেরেছি, প্রতিটি লাইট কেনা হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে। ২০২০ সালে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা যখন ছিলেন, তিনি এই লাইটগুলো কেনেন। এ ছাড়া আমি তেমন কিছু জানি না।
তৎকালীন দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রত্যয় হাসান বলেন, আমি বর্তমানে সেখানে নেই এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।পৌরসভার প্রকৌশলী সাখাওয়াদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পৌরসভার লাইট কত দামে কেনা হয়েছে এ বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার না।
দেবিগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র আবু বক্কর বলেন, আমি তৎকালীন সময়ে পৌরসভার মেয়র ছিলাম না। তখন টেন্ডারটি ইউএনওর মাধ্যমে হয়েছিল। আমি শুধু লাইটগুলো পেয়েছি পরে সেগুলো লাগানো হয়েছে।এ বিষয়ে দুদকের ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের উপপরিচালক ও এনফোর্সমেন্ট টিম লিডার তাহাসিন মুনাবিল হক বলেন, গত বছর শেষের দিকে আমরা একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেবীগঞ্জ পৌরসভায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালাই। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। পরে এ বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে কে বা কারা দায়ী সেটা আমরা অনুসন্ধান করে খুব শীঘ্রই আইন ও বিধি মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।