সাইফুল ইসলাম:
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর হামলা ও নাশকতাসহ পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় মোট ৮২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিউজ পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) মানিকগঞ্জের ঘিওর এলাকায় অভিযান চালিয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পাভেল হোসেন ও রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে কদমতলী থানার ৬০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় জড়িত মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর হামলা ও নাশকতাসহ পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতায় জড়িত সর্বমোট ৮২০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র্যাবের ১৪১টি টহলদলসহ সারাদেশে ৪৩৫টি টহল দল মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের রোবাস্ট টহল পরিচালিত হচ্ছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে টহলের মাধ্যমে এসকর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কনভয়ের মাধ্যমে সর্বমোট ২৭ হাজারের অধিক যানবাহনকে এসকর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
র্যাবের সর্বমোট সাত শতাধিক এসকর্টের মাধ্যামে উক্ত যানবাহনের কনভয়সমূহকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।