দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩

সাজ্জাদ হোসেন:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শরীর খারাপ থাকলে মানুষ কাজ করতে পারবে না। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। তাই দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরি। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিএসএমএমইউর শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে থেকে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন অধিকার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে বের করা শোভাযাত্রায় প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ মানেই সে পাগল নয়। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা। মনে রাখতে হবে, নো হেলথ ইউথ আউট মেন্টাল হেলথ। আমাদের ৫টি মৌলিক অধিকারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও অন্যতম।
দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিএসএমএমইউর শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে থেকে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন অধিকার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে মনোরোগবিদ্যা বিভাগ। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-বøকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে শুরু হয়ে এ বøক, টিএসসি, বেসিক ভবন প্রদক্ষিণ করে ডি বøকে গিয়ে শেষ হয়।
উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের শরীরের যেমন বিশ্রাম দরকার, তেমনি মানুষের হৃদয় ও মনের বিশ্রাম দরকার আছে। হৃদয়ে সুখ না থাকলে এবং মন খারাপ থাকলে শরীরও খারাপ থাকে। শরীর খারাপ থাকলে মানুষ কাজ করতে পারবে না। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। তাই দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরি।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহাজাবিন মোরশেদ, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ্, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদসহ মনোরোগবিদ্যা বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্সরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
জানা গেছে, মানসিক সমস্যার মূল কারণ দারিদ্র্য, অসমতা, সহিংসতা, বৈষম্য। এসব সমস্যা ভয় না পেয়ে বরং মোকাবিলা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে। তবেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মিলবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষ নয়, বরং মৌলিক মানবাধিকার। তাই চিকিৎসকরা মনে করছেন, সবারই এ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যতœক নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে প্রথমবার এ দিনটি পালন করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতি বছরই ১০ অক্টোবর দিনটিকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শুরুতে দিবসটির কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য ছিল না। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে কথা বলা এবং জনসাধারণকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে শিক্ষিত করা।