নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। সংসদ নির্বাচনের ২৯৮ আসনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ির ১৯টি ও রাঙ্গামাটির ৮ কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। তবে শতভাগ ভোট পড়ার নজিরও রয়েছে এবারের সংসদ নির্বাচনে। চট্টগ্রাম-৩ ও গাইবান্ধা-৪ আসনের দুটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে বলে দেখা গেছে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে।
নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুবছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেউ ভোট দেননি। খাগড়াছড়ির এ আসনে নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হয়ে স্থান পেয়েছেন মন্ত্রীসভাতেও।
বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিউলংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালদাইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেউ ভোট দেননি। রাঙ্গামাটিতে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী দীপঙ্কর তালুকদার।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম-৩ আসনের মমতাজুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রের মোট ভোটার তিন হাজার ৯৮০ জন। এদের সবাই ভোট দিয়েছেন। তবে বাতিল হয়েছে দুই হাজার ৩৫৭টি ভোট। এ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, গাইবান্ধা-৪ আসনের শিবপুর ফজরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৪৫০ জন। তাদের সবাই ভোট দিলেও বাতিল হয়েছে ৬৬২টি ভোট। এ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ দুই লাখ এক হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতাধিক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছিল। সে সময় ভোট পড়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশ।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭ জানুয়ারি ৩০০ আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নওগাঁ-২ আসনে বৈধ এক প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন হয় ২৯৯ আসনে। তবে ময়মনসিংহ-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ফলাফল স্থগিত রাখে ইসি। ফলে ২৯৮ আসনের ফলাফল প্রকাশ করে সংস্থাটির।
২৯৮ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২২২, জাতীয় পার্টি ১১,জাতীয় সমাজতান্ত্রিকক দল-জাসদ ১, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১, কল্যাণ পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র ৬২টি আসনে জয়লাভ করে।