জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে বিধ্বস্ত হয় চাঁন মিয়া-মনোয়ারা দম্পতির বসতঘর। ভিটেমাটিহীন এ দম্পতিকে নতুন করে ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে তাদেরকে সরকারি তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে জানা গেছে।সোমবার (১৮ মার্চ) নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসমাইল হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার ট্রেন দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাঁন মিয়া-মনোয়ারা দম্পতির বসতঘর লন্ডভন্ড হওয়ার খবর জেনেছি। এরপর তাদের খুঁজে বের করে কথা বলেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ২ দিনের মধ্যে তাদেরকে নতুন করে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনাসহ ১০টি হাঁস, ১০টি মোরগ এবং দুটি ছাগল কিনে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চাঁন মিয়া বলেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ভিষণ চিন্তায় ছিলাম। জায়গা-সম্পত্তি না থাকায় রেললাইনের পাশে কোনোরকমে একচালা টিনের ঘর বানিয়ে জীবনযাপন করছিলাম। মানুষের কাছে চেয়ে যা পাই তা দিয়ে জীবন চালাই। প্রশাসন নতুন ঘর করে দেবে এই খবরে খুশি হলাম। ভেবেছিলাম এবার মনে হয় স্ত্রীকে নিয়ে গাছতলায় থাকতে হবে। আল্লহর দয়ায় আজ উপজেলা প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিজয় এক্সপ্রেস। দুপুর পৌনে ২টায় নাঙ্গলকোটের হাসানপুরে পৌঁছালে তেজের বাজার এলাকায় বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ট্রেনটির ইঞ্জিন। পরে গতি কমে আসা ইঞ্জিনকে পেছন থেকে আবার ধাক্কা দেয় বগিগুলো। এতে একে একে ৯টি বগি যাত্রী নিয়ে পড়ে যায় রেললাইনের পাশে। এর মধ্যে একটি বগি পড়ে চাঁন মিয়া-মনোয়ারার বসতঘরে। এ সময় তারা ঘরের পাশে বসে কাজ করছিলেন। দ্রুত কোনোমতে দুইজন নিরাপদ স্থানে সরে প্রাণ রক্ষা করেন। ততক্ষণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় তাদের বসতঘর।