নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আপ্যায়নে যা থাকছে বঙ্গভবনে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। বঙ্গভবনে সন্ধ্যা সাতটায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে বাহারি সব খাবারের। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের খাবারের মেন্যু থেকে জানা গেছে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আপ্যায়নে অন্যান্যবারের মতো এবারও খাবারে বেশ বৈচিত্র্য রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের আপ্যায়ন করতে নানা ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মাছ, মাংস ও সবজি জাতীয় খাবারকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, খাবার হিসেবে দেওয়া হবে মাটন শিক কাবাব, চিকেন সাসলিক ও ভেটকি মাছের ফিস ফিঙ্গার। এছাড়া, বয়েল্ড ভেজিটেবলসের সঙ্গে দেওয়া হবে মাশরুম ও পনির সমুচা। মিষ্টি মুখ করাতে পরিবেশন করা হবে পাটিসাপ্টা পিঠা ও মিষ্টি-বাকলাভা।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানান, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সন্ধ্যার আপ্যায়নে থাকবে কমলা, আপেল ও আঙুর দিয়ে সাজানো ফ্রুটস বাস্কেট। আর বঙ্গভবনের সবুজ লনে সাজানো শামিয়ানার নিচে চা আর কফিতে জমবে শেষ সময়ের আড্ডা আর খোশগল্প।
নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন ৩৬ জন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে মন্ত্রী হিসেবে ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন ১১ জন।
এ দিন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন, আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র. অ. য. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন।
আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন, বেগম সিমিন হোমেন (রিমি), নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বোম বুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টির আসন অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।