নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম ইউপি নির্বাচনে তারুণ্যের জয়
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,কক্সবাজারঃ
নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টা নাগাদ ফলাফল ঘোষণা করেছেন ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবীর।
ভোটে বেসরকারিভাবে ঈদগাঁও সদর ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের সোহেল জাহান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ আলম (মোটর সাইকেল)। ইসলামপুরে জয় পেয়েছেন আনারস প্রতীকের দেলোয়ার হোসেন। তিনি জামায়াত নেতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের মোহাম্মদ শরীফ। জালালাবাদ ইউনিয়নে রজনীগন্ধা প্রতীকে জয় পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্যাক্সি প্রতীকের ফখর উদ্দীন।
ইসলামাবাদ ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন সাবেক মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের নুরুল হক। পোকখালী ইউনিয়নে ঢোল প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিটার প্রতীকের সাইফ উদ্দিন।কক্সবাজারের নবম উপজেলা পরিষদ হিসেবে প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় ঈদগাঁওয়ের পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রথম সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হলো। এতে চারটি ইউনিয়নে তরুণ প্রার্থীরা পুরোনোদের পেছনে ফেলে জয় ছিনিয়ে নেন। তবে একটিতে পুরোনো চেয়ারম্যান জয় পান। সেখানেও তার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন আরেক তরুণ।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৫৮। যেখানে পুরুষ ভোটার ছিলেন ৪৮ হাজার ২৪৬ ও নারী ভোটার ছিলেন ৪০ হাজার ২১২ জন।নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণার্থে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নির্বাচনে ৫৭ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৬৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৫৩২ জন পোলিং অফিসারসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, সংঘাতহীন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এটি নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের নিয়োগকৃত দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আগের দিন এবং ভোটের দিন আরও পাঁচ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে যুক্ত হন। আমাদের সবার নজর ছিল ইতিহাসের অংশ হওয়া নির্বাচনটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা থেকে পৃথক হয়ে পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে ঈদগাঁও উপজেলা গঠিত হয়। উপজেলা গঠন পরবর্তী উক্ত ইউনিয়নগুলোতে এই প্রথম কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল না। তবে বিশেষ লক্ষণীয় হলো-২৮ এপ্রিল পাঁচ ইউপির নির্বাচন সম্পন্নের আমেজ শেষ না হতেই নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম উপজেলা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।