নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। এ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা যতদিন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল করতে হবে।

সোমবার বিকেলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তাবিত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যেমন দরকার, তেমন বাহিরেরও নিরাপত্তা দরকার। কারণ বিশাল সাগরে এই বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশি। সাগরে অনেকের যাতায়াত তাই বন্দরের ভেতরে বাইরের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম ফেইজের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর বন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করা যেতে পারে।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাইকা অর্থ যোগান দিচ্ছে। তারা গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে খুবই আন্তরিক। তারা যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

দেশে ৭টি লাইট হাউজ নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলোও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর ফলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে সুফল পাওয়া যাবে।

নাফ নদীতে ড্রেসিং বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আরাকান অঞ্চলে এখনো যুদ্ধ চলমান। এ কারণে নাফ নদী এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরাকানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং কোল পাওয়ার কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি মহেশখালীতে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান, সচিবসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।