ডেস্ক রিপোর্ট :
যুক্তরাষ্ট্রের জেফ্রি এপস্টাইন ও গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল দম্পতির মানবপাচার মামলা সম্পর্কিত নথির তৃতীয় অংশ ফাঁস হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ফাঁস হওয়া নথিতে বাদী ভার্জিনিয়া জিউফ্রে ও জোহানা জোবার্গের দেওয়া সাক্ষ্যে ১৩ ক্ষমতাধর সাক্ষীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের নামও উঠে এসেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়া জিউফ্রে হলেন জেফ্রি এপস্টাইন ও ম্যাক্সওয়েলের পাচারকৃত অসংখ্য অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের একজন। ২০১৫ সালে জিউফ্রে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মানবপাচারের শিকার হওয়া নিয়ে মামলা করেন।
জিওফ্রে ও জোবার্গের অধিকতর জবানবন্দিতে এপস্টাইন ও ম্যাক্সওয়েলের মানবপাচারের কারবারে কীভাবে কিশোরীদের ফাঁদে ফেলা হতো তা নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।
নতুন এ নথি অনুসারে, ভার্জিনিয়া জিউফ্রের উল্লেখিত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। অবশ্য আদালতে দাখিল করা নথিতে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
এপস্টাইনের সাবেক গৃহপরিচারিকা হুয়ান অ্যালেসি বলেন, প্রিন্স অ্যান্ড্রু প্রায়ই এপস্টাইনের পাম বিচ হোমে থাকতেন। সেখানে তিনি প্রত্যেকদিন ম্যাসাজ নিতেন।
নথিতে আরও বলা হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এপস্টাইনের সাউথ ফ্লোরিডার বাড়িতে যেতেন। তবে, ট্রাম্প কখনোই ওই বাড়িতে অবস্থান করেননি বলে উল্লেখ করেছেন জুয়ানচৎ।
গত বুধবার (৩ জানুয়ারি) থেকে মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ১৮০ টিরও বেশি নথি ফাঁস হয়েছে। ২০১৯ সালে জুলাইয়ে এপস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন দাসত্ব ও মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়। তবে বিচারকার্য শুরু হওয়ার আগেই তিনি ম্যানহাটনের কারাগারে আত্মহত্যা করেন। একই অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন ম্যাক্সওয়েল।
মার্কিন আদালত বলছে, ধনসম্পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এপস্টাইন কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন করতেন। পেডো আইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ফাঁসকৃত নথি অনুসারে যৌনদাসী হিসেবে আনা প্রত্যেক কিশোরী-নারীর বিনিময়ে ২০০ ডলারে চুক্তি করতেন এপস্টাইন। আর প্রতিটি যৌন সম্পর্কের বিনিময়ে ওইসব যৌনদাসীদের শত শত ডলার নগদ দিতেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি