নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে আগামীকাল স্থগিত কেন্দ্রের ভোট

ময়মনসিংহ-৩

প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৪

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের স্থগিত হওয়া ভালুকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচন আগামীকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ব্যালট ছিনতাইয়ের কারণে গত ৭ জানুয়ারি ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল এবং স্থগিত রাখা হয় গৌরীপুর আসনের ফল।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ জানুয়ারি ভোট চলাকালীন ভালুকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তরা ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া ভোট বাতিল হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। নৌকার প্রার্থী ৯৮৫ ভোটে এগিয়ে আছেন। বাতিল হওয়া কেন্দ্রের মোট ভোট ৩ হাজার ৩২টি। যে কারণে ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

ভালুকাপুর কেন্দ্রে ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাদের রুবেলসহ ১৫৪ জনের নামে মামলা করেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নরোত্তম চন্দ্র রায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভালুকাপুর সরকারি স্কুলের সামনে র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রের সামনে ও ৭টি বুথে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

গ্রামের বাসিন্দা মো. সাদেক মিয়া বলেন, আবারও ভোট গ্রহণ হবে বলে নৌকার প্রার্থী নিলুফার আনজুম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা কর্মীরা প্রতিদিন ভোট চাইছেন। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনবার ভোট চাইতে দুই প্রার্থীর পক্ষ থেকে কর্মীরা আসছেন।

চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাদের রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে আমার নামে যে মামলা হয়েছে সেটি মিথ্যা মামলা। আমি এ মামলায় আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছি। ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আগামীকালও আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

এ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান খান বলেন, এই কেন্দ্রে আগামীকালের ভোট খুব উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এই কেন্দ্রের ভোটের মধ্য দিয়ে নৌকার বিজয়ের জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, আগামীকাল শনিবার ওই স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ করা হবে। এ উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। কেন্দ্রে লাগানো হয়েছে ১২টি সিসি ক্যামেরা। স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম রয়েছে ৩টি করে। এছাড়াও র‌্যাব, ডিবি, এপিবিএন ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এই কেন্দ্রে ভোট নিতে ১ জন প্রিজাইডিং, ৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১৪ জন পোলিং অফিসার ময়মনসিংহ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।