জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সড়ক, আকাশ, রেলপথে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি কোম্পানির চারটি ফ্লাইট অবতরণ করেনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এ অঞ্চল। দুপুর ১২টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৮০০ মিটার। যা ফ্লাইট উঠানামার জন্য যথেষ্ট নয়। বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা এক হাজার মিটারের ওপরে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘন কুয়াশায় সঙ্গে পশ্চিম থেকে ঘণ্টায় ৬-৭ কিলোমিটার বেগে হিমেল বাতাস বইছে। এ বায়ু প্রবাহের কারণে দ্রুত ঘন কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। তারপরেও ২টার আগে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনও ধীর গতিতে চলাচল করছে। এর ফলে ঢাকা-চিলাহাটি রুটের ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ও ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ এবং খুলনা-চিলাহাটি রুটের ‘রুপসা এক্সপ্রেস’ ও ’সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনগুলো ১-২ ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে। কুয়াশা কেটে গেলে এ সমস্যা থাকবে না।
নীলফামারী হরতকীতলা বাস স্ট্যান্ডে দূরপাল্লাগামী কাউন্টারের ম্যানেজার ও এজেন্ট নুরুজ্জামান আহম্মেদ বলেন, রাতে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরাঞ্চলের নৈশ কোচগুলো তিন-চার ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কারণে নৈশ কোচগুলোতে যাত্রীর সংখ্যাও কমেছে।
মতিয়ার রহমান নামে এক বাসচালক বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি ধীরে চালাতে গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও বাংলাদেশ বিমানের চারটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সকালের এসব ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা এখনো নেই। আশা করি কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে।’