নূর-ই-আলম চৌধুরী টানা দুইবার চিফ হুইপ ও তিনবার পার্লামেন্টারি পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর-১-(শিবচর) আসনের সপ্তম বারের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদের টানা দুইবারের সরকার দলীয় চিফ হুইপ ও টানা তিনবারের আওয়ামী লীগের সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
নবম জাতীয় সংসদের হুইপ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বড় ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর বড় ছেলে। সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। পদ্মা, আড়িয়ালখা নদসহ অসংখ্য খাল বিল জলাশয়সমৃদ্ধ এক সময়ের প্রত্যন্ত শিবচর উপজেলাকে মুক্তিযুদ্ধময় আবহে পরিকল্পিত উন্নয়নে দেশ সেরা আধুনিক উপজেলা গড়ার কারিগর এই নেতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি মাদারীপুরের কালকিনিতে এক নির্বাচনী জনসভায় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে তার সংসদীয় আসন শিবচরকে স্বর্গরাজ্য বলে উল্ল্যেখ করেন। নবনিযুক্ত চিফ হুইপ তার প্রতিক্রিয়ায় তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, ১৯৯১ সালের প্রথম উপনির্বাচনের পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই ব্যবধান আরও বেড়ে ভোটের ব্যবধান দাঁড়ায় অর্ধ লাখেরও বেশি। বিরোধী দলে থেকেও তার কর্মতৎপরতা বিশেষ করে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি বিশেষ টানের কারণে তিনি হয়ে উঠেন অপ্রতিদ্বন্দী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হন লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে। আর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান দাঁড়ায় ২ লক্ষাধিক। নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও ২য় দফায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। এবারের নির্বাচনেও একই ভোটের ব্যবধান অব্যাহত রয়েছে।
নবনির্বাচিত চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি মুঠোফোনে বলেন, গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন তা নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করব। শিবচরবাসীর ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে পারব না। শিবচরের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে তা অপূরণীয়।