ন্যাশনাল মেডিক্যাল ঘেরাও: শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভুল চিকিৎসায় ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতাল ঘেরাও করা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টা নাগাদ ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালের সামনে থাকা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এরপর পাল্টা ধাওয়া দেয় অন্যন্যা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা ধাওয়া দিয়ে ওই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে নিয়ে যায়। এরপর দুই পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলমান।এর আগে আব্দুর রউফ, বিজ্ঞান কলেজ, নটরডেম, সিদ্ধেশ্বরী, ডিএমআরসি, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, খিলগাঁও মডেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টা নাগাদ ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাওয়ে অংশ নেন। এ সময় তারা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ফটক ভাঙচুর করেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে যানা গেছে, অভিজিত হাওলাদার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তির দুই দিন পর ১৮ নভেম্বর মারা যান। অভিজিতের প্লাটিলেট কমে গেলে পরিবার তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে চায়। এতে বাধা দেয় ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মৃত্যুর পর টাকা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ আটকে রাখে। ২০ নভেম্বর ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা লাশ নিতে গেলে কোনও সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সন্ধ্যার পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে সরেয়ে দেয়। ২১ নভেম্বর ডিএমআরসির শিক্ষার্থীরা আবার ন্যাশনাল মেডিক্যালে এলে সকালে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন।