পদ্মায় ফেরি ডুবি : দৌলতদিয়া প্রান্তে ভাইয়ের খোঁজে বোন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নং ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মিজান মিয়া নামে একজন ট্রাকচালক নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার বোন রোকেয়া বেগম দাবি করেছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এসে তিনি তার ভাইয়ের খোঁজ করছেন।
নিখোঁজ মিজানের বোন রোকেয়া বেগম জানান, তার ভাই মিজান ট্রাকচালক। রাতে মালামাল নিয়ে সে গোয়ালন্দ থেকে রওনা হয়। ফেরি ডুবে যাওয়ার পর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তিনি এসেছেন ভাইকে খুঁজতে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোকেয়া বেগম নামে একজন তার ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছে না বলে আমাদের জানিয়েছেন। রোকেয়া বেগমের দাবি তার ভাই মিজান রজনীগন্ধা ফেরিতে ছিল। আমরা তার ভাইয়ের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালাচ্ছি।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি রজনীগন্ধা ৭টি ছোট ও দুটি বড় ট্রাক বুকিং দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে মাঝ নদীতে নোঙর করে ফেরিটি। পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পাটুরিয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নদীতে মালবাহী ব্লাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝ নদীতে ফেরিটি ডুবে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি রজনীগন্ধা-৭ ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা। এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে আরও একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থালে আসে। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।