পরীক্ষায় না দেখানোয় মাথার খুলি ভাঙল সহপাঠীরা, ৮ দিন পর মৃত্যু

প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৫


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে খাতা দেখতে না দেওয়ার জেরে সহপাঠীদের মারধরে আহত ইমন হোসেন (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ৮ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

নিহত ইমন হোসেন খুকনী ইউনিয়নের আটারদাগ গ্রামের এমদাদুল মোল্লার ছেলে। সে খুকনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

নিহতের পরিবার জানায়, ১৭ এপ্রিল এনায়েতপুর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার সময় কয়েকজন সহপাঠী ইমনের খাতা দেখতে চেয়েছিল। ইমন রাজি না হওয়ায় পরদিন ১৮ এপ্রিল বিকেলে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর নতুন পাড়ায় ডেকে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে ইমনের মাথার বাম পাশের খুলি ভেঙে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত বুধবার অসুস্থ ইমনকে ঢাকা থেকে বাড়িতে আনা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে পুনরায় গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা এমদাদুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, এসএসসি পরীক্ষার খাতা না দেখানোর কারণে তাকে এভাবে হত্যা করা হবে, তা কখনো কল্পনাও করিনি। তবে মারধরের ৮ দিন পার হলেও দুই থানার দায়িত্ব এড়িয়ে চলার কারণে এখনো কোনো মামলা হয়নি

এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি বলেন, আমরা জিডি মূলে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম. মনসুর আলী হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি ঘটেছে বেলকুচি থানা এলাকায়। এবিষয়ে ব্যবস্থা বেলকুচি থানা নেবে।

অন্যদিকে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে এনায়েতপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছেন। নিহতের পরিবার থানায় এসেছে। মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। মামলা হওয়ার পরে আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।