পাকিস্তানে ভ্রমণ ইস্যুতে নাগরিকদের সতর্কবার্তা ব্রিটেনের

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

পাকিস্তানের বেশ কিছু অঞ্চলে ভ্রমণের ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদেশ, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমন্টে অফিস (এফসিডিও) গতকাল মঙ্গলবার জারি করেছে এ বার্তা।বার্তায় পাকিস্তানের যে কোনো সীমান্ত এলাকায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে নাগরিকদের নির্দেশ দিয়েছে এফসিডিও। পাশপাশি পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজাউর, বান্নু, বুনের, চারসাদ্দা, ডেরা ইসমাইল খান, খাইবার, কোহাট, কুররম, লাক্কি মারওয়াত, লোয়ার দির, মোহমান্দ, ওরাকজাই, রাজধানী পেশোয়ার, সোয়াত, তাঙ্ক, উত্তর ওয়াজিরিস্তান, আপার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, লোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, মারদান, চিত্রল, মানসেরা জেলা— অর্থাৎ পুরো খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ, পাকিস্তান ও চীনের মধ্য সংযোগস্থাপন সড়ক কারাকোরাম হাইওয়ে এবং তার সংলগ্ন গিলগিট-বাল্টিস্তানের চিলাস জেলা, আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের সীমান্তের সংলগ্ন ১০ মাইল এলাকা এবং বেলুচিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল ব্যতীত প্রদেশটির সব এলাকায় ভ্রমণ না করতে নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে এফসিডিও’র বিবৃতিতে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উল্লম্ফন ঘটেছে। এ দু’ই প্রদেশের সঙ্গেই সীমান্ত রয়েছে আফগানিস্তানের এবং ইসলামাবাদের অভিযোগ— পাকিস্তানের এসব সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কাবুল। তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 

সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের বছর জুড়ে পাকিস্তানে ৪৪৪টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৪৪টি। এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮৫ জন সেনা এবং ৯২৭ জন বেসমরিক মানুষ। শতকরা হিসেবে হামলা এবং হতাহতের এ সংখ্যা গত এক দশকের যে কোনো বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।

সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে অবশ্য সেনা অভিযানও শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীর আন্তবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) তথ্য অনুসারে, গত বছর সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে পাকিস্তানে নিহত হয়েছে ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী।