পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক ১৬ আগস্ট

প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২৩
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে গেøাবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গেøাবাল ব্যাংক) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ আগামী ১৬ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার (৯ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে গত ২০ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এর পর ২৬ জুলাই আসামিদের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেন আদালত। ওই দিন কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক আছেন। ২ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। কিন্তু, এরই মাঝে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আরিফুল ইসলামকে পুনরায় জেরার আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এদিন আরিফুল ইসলাম আদালতে হাজির হন। তবে, তাকে জেরা করা হয়নি। এদিন আবারও আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি হয়। চার আসামি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। পলাতক ১০ আসামি আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেননি। পরে আদালত ১৬ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২০ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় ১০৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।


পলাতক অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।