নবাবগঞ্জ, ঢাকা প্রতিনিধি:
ঢাকার নবাবগঞ্জে স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে নিহত হয়েছেন আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তি। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের মিয়াহাটি গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে সালামের স্ত্রী সানজিদা আক্তার জোসনা (৩২) ও তাঁর মা রওশনারা বেগমকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুস সালাম (৫০) পাশের দোহার উপজেলার কাটাখালী এলাকার নিয়ামত সুকানির ছেলে। তিনি নবাবগঞ্জের মিয়াহাটি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
এলাকাবাসীর বরাতে পুলিশ জানায়, ছেলেকে বিদ্যালয়ে নেওয়ার বিষয় নিয়ে রোববার বিকেলে স্ত্রী জোসনার সঙ্গে সালামের তর্কাতর্কি হয়; যা কিছুক্ষণের মধ্যে ঝগড়ায় রূপ নেয়। এ সময় সালাম স্ত্রীর চুল ধরে মারতে যান। জবাবে কাছে থাকা পিঁড়ি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে বসেন জোসনা। এতে অসুস্থ হয়ে সালাম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় স্ত্রী জোসনা প্রতিবেশী মিনহাজ ও রাতুলের সহায়তায় সালামকে গুরুতর অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সালামকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে সালামের স্ত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে জোসনা ও শাশুড়ি রওশনারা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
গালিমপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল হাসান বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত ব্যক্তির মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্নের উল্লেখ করা হয়েছে। আটক জোসনা দাবি করেছেন, তিনি পিঁড়ি দিয়ে স্বামীকে আঘাত করেননি। তবে আঘাত করতে হাতে পিঁড়ি নিয়েছিলেন। কিন্তু এতে তাঁর মা রওশনারা বাধা দেন।
এ বিষয়ে ঢাকার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) আশরাফুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই ধারণা করছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।