পুলিশের পিস্তল ছিনতাইয়ের মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা প্রিন্স কারাগারে

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


গত ৫ নভেম্বর প্রিন্সকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মাতুব্বর। শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার (৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গøাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইনসের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন থানায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০/৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।