
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর। এই হামলায় পাকিস্তানকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ভারতের আসাম রাজ্যে একদিনে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানকে সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলার ঘটনা ঘটেছে ২২ এপ্রিল, যখন কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট পেহেলগাঁওয়ের বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে অন্তত ২৬ জন পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আরও অনেকেই আহত হন। এই হামলা ভারতের ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়, যেমন সিন্ধু নদী পানিবন্টন চুক্তি স্থগিত করা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করা।
পেহেলগাঁও হামলার পর আসাম রাজ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানকে সমর্থন করে পোস্ট দেওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে ৮ জন ব্যক্তি, যারা বিভিন্ন জেলায় গ্রেপ্তার হন। তাদের মধ্যে নাম ঘোষণা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী, যাদের মধ্যে মো. জাবির হোসাইন (হাইলাকান্দি জেলা), এম এ কে বাহাউদ্দিন (শিলচর জেলা), মো. জাভেদ মজুমদার (শিলচর জেলা), মো. আমিনুল ইসলাম (নগাঁও জেলা), মো. সাহিল আলী (শিভাসনগর জেলা), মো. জারিফ আলী (বেরপাতা জেলা) এবং অনিল বানিয়া (বিশ্বনাথ জেলা) অন্তর্ভুক্ত। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, পেহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তানকে সমর্থন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাগুলি ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র কূটনৈতিক পদক্ষেপের পটভূমিতে ঘটে, যার মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি স্থগিত এবং সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়গুলি উঠে আসে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে এই হামলার পর। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় কূটনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন