প্রজাপতির দ্বীপখ্যাত সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের প্রজাপতির দ্বীপখ্যাত সোনাদিয়ায় পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন বছরের শুরুতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী। তবে দিনের বেলা দ্বীপ ভ্রমণে কোনো বাধা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার (১ জানুয়ারি) ওসি প্রণব চৌধুরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপটি দুর্গম, তাই সেখানে রাত্রিযাপন আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকে দ্বীপে রাত্রিযাপন করছিলেন। ফলে, ওসি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
ওসির ফেসবুকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জানুয়ারি থেকে সোনাদিয়া দ্বীপে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় জনসাধারণ ব্যতীত কোনো বহিরাগত পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে কেউ যদি আদেশ অমান্য করে বহিরাগত পর্যটককে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দ্বীপে রাত্রিযাপনের সুযোগ করে দেন এবং যারা অবস্থান করবেন, উভয়কে আইনের আওতায় আনা হবে।
এতে আরও বলা হয়, পর্যটকদের রাতে দ্বীপে অবস্থানের জন্য যারা এরইমধ্যে প্যাকেজ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন, তাদের দ্রুত বিজ্ঞপ্তি তুলে নিতে বলা হচ্ছে। বিকেল চারটার আগে বহিরাগত সবাইকে দ্বীপ এলাকা ত্যাগ করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, দিনে পর্যটকদের সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণে কোনো বাধা নেই। তবে তাদের অবশ্যই বিকেল চারটার মধ্যে দ্বীপ থেকে ফিরে আসতে হবে। এরইমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে যারা বিভিন্ন অফার দিয়ে সোনাদিয়ায় পর্যটকদের অনিরাপদ রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করে আসছেন, তাদের এসব বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ নির্দেশ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনাদিয়া দ্বীপটি দুর্গম, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ফাঁড়ি নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিদের জানিয়ে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ কামাল।