
ক্রীড়া ডেস্ক:
এক বছর আগে থেকেই ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কোচ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি। তার হাত ধরেই শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি নারী প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রথম বারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েই চমক দেখিয়েছেন তার শিষ্যরা। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তকমা এখন দলটির নামের পাশে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনের গল্প দৈনিক ইত্তেফাককে শুনিয়েছেন শেলটেকের প্রধান কোচ মনিরুজ্জামান। যেখানে তিনি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পেছনে ম্যানেজার হুমায়ুন কবীর রিপনের নাম উল্লেখ করেছেন। সবার চেষ্টায় সফল হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শেলটেক কোচ।
শেলটেক ক্রিকেট একাডেমির সঙ্গে গেল তিন বছর ধরে কাজ করছেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি। এর আগে দলটির নাম ছিল মিরপুর বয়েজ ক্লাব। সেখান থেকে মালিকানা পরিবর্তনের পর শেলটেক হয়েছে। দলটি প্রথম বারের মতো প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমেছিল এবার। প্রথম ম্যাচেই শেলটেক মাঠে নেমেছিল গেলবারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ৫৩ রানে জয় পেয়েছিল মনিরুজ্জামানের শিষ্যরা। এরপরই চ্যাম্পিয়ন হবে শেলটেক, এমন ধারণা নিয়েই বাকি ম্যাচগুলো খেলেছে দলটি। এমনকি সেই ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন জার্সিও তৈরির পরিকল্পনা করেছে দলটি এবং টুর্নামেন্টের মধ্যপথেই তারা চ্যাম্পিয়ন লেখা জার্সি তৈরি করে রেখেছিল।
চ্যাম্পিয়ন কোচ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি বলেছেন, ‘প্রথম শ্রেণি থেকে প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পরই দল গোছানোর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। সিনিয়র-জুনিয়র কম্বিনেশনে দল সাজানোর চেষ্টা করেছি। আমরা শুরুতে ভালো একজন অধিনায়ক নেওয়ার কথা চিন্তা করে নিগার সুলতানা জ্যোতিকে দলে নিয়েছিলাম। এরপর ভালো একজন লেগ স্পিনার, অলরাউন্ডার ও অন্যদের নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দল গোছানোর পর টিম স্পিরিট এক সুতোয় গাঁথতে পারায় সফল হয়েছি। প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কার বিপক্ষে কাকে খেলালে ভালো হবে, সেগুলো নিয়েও বিশদ পরিকল্পনা করেছি। মোহামেডানের বিপক্ষে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি। সেই ম্যাচটি জেতায় আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। সত্য বলতে প্রথম ম্যাচের পরই চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেছে শেলটেক।’
এবারের নারী প্রিমিয়ার লিগে নয়টি দল খেললেও সবাই শক্তিশালী দল গঠন করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি পরিচালক ও নারী উইংয়ের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম কথাও বলেছেন। তার কথার সঙ্গে সহমত শেলটেক কোচ। হাতেগোনা কিছু ক্রিকেটার থাকার কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে মনে করেন মনিরুজ্জামান। যখন ভালো ক্রিকেটাররা একটা ক্লাবে যায়, তখন বাকি দলগুলো দুর্বল হয়ে যায়। ভবিষ্যতে ভালো পৃষ্ঠপোষক পেলে এবং প্রাইজমানির পরিমাণ বাড়লে এই সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। খুলনা থেকে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের। গেল ১৭বছর ধরে এই পেশায় তিনি রয়েছেন। তার হাত ধরে আফিফ হোসেন ধ্রুবর মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছেন। বর্তমানে নারীদের ক্রিকেট নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি।