নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদুল আজহার আর মাত্র ৪দিন বাকি। এ কারণে রাজধানীর পশুর হাটগুলো প্রস্তুত করছেন ইজারাদাররা। হাটে গরু-ছাগল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। গতকাল শুক্রবার হাটে হাটে পর্যাপ্ত পশু আসছে।
আজ শনিবার (২৪ জুন) হাটে পর্যাপ্ত পশু আসতেছে । হাটে বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে। রবি সোমবার থেকে মূলত বেচাকেনা পুরোপুরি হবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন কমলাপুর পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, কমলাপুর টিটিপাড়া, মুগদা স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা, গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ, দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ সামনের রাস্তাসহ আশপাশের ফাঁকা সড়কজুড়ে সারি সারি বাঁশ গেড়ে-বেঁধে গরু, ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে আরও গরু-ছাগল আসছে। হাসিল কাটার কাউন্টারগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগে গরু বিক্রি শুরু হবে।
বেপারিরা জানান, ঈদের দুই-তিন দিন আগে পশু বেচা-বিক্রি বেশি হয়। সেই হিসেবে এখনও হাতে সময় আছে। তাই আমরা অপেক্ষা করছি। এখন মূলত যারা হাটে আসে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ শুধু দামদর করতে আছে বাজারে পরিস্থিতি বুঝার জন্য।
কমলাপুর হাটের ইজারাদার ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে এখানে হাট বসিয়েছি। হাটে যেন কোনও ধরনের দুর্বৃত্ত অঘটন ঘটাতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে হাটের লোকজন কাজ করছে। সেক্ষেত্রে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে হাট শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। কোনও পশু যদি অসুস্থ হয় সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসকের ব্যবস্থাও আমরা রেখেছি।
হাটের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কার্যালয় থেকে জানানো হয়, হাটে জাল টাকা শনাক্ত করতে মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি কোনও ধরনের চুরি বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যেন না হয় সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা কাজ করছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে পুলিশ বলছে, কোনও অপরিচিত লোকের দেওয়া কোনও কিছু খাবেন না। হাটের মধ্যে লেনদেন করবেন। কেউ যদি মনে করেন তার টাকা বহন করতে অনিরাপদ মনে হচ্ছে, তিনি পুলিশের সহযোগিতাও পাবেন।
কমলাপুর হাটে গরু দেখতে আসা মোঃ সহিদুল ইসলাম নিউজ পোস্ট বিডি ডটকমকে জানান, হাটে কেমন গরু এসেছে তা দেখার জন্য এসেছি। মূলত ঢাকায় যারা বসবাস করে তারা ঈদের ২/১ দিন আগে গরু কিনে। ঢাকায় গরু রাখা মূলত প্রধান সমস্যা।
ছবি- আসলাম শেখ।