প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০১৩ সালের জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত প্রাথমিক ৪৮৭২০ শিক্ষকদের ‘জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল সংক্রান্ত বিধির বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্টের প্রজ্ঞাপন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দলটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শিক্ষকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্টের চিঠি দেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছিলেন। অনেক শিক্ষক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে মৃত্যুবরণও করেছেন। দুঃখজনক হলে সত্য যে বর্তমানে যারা পিআরএল, পেনশনে যাচ্ছেন তারা ওই পত্রের কারণে অমানবিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবার অনেকে ন্যায্য পাওনা না পেয়ে অসুস্থতায় ভুগছেন এবং কেউ ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ অমানবিক ও বেআইনি।
ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি শিক্ষকদের অবর্ণনীয় কষ্ট লাঘবে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমাদের নিম্নবর্ণিত দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অবৈধ পত্রটি বাতিল করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যের শিকার জাতীয়করণ করা শিক্ষকরা ৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা বিগত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব কেউই কোনো প্রকার গুরুত্ব দেননি। অবশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিগত সরকার বিতাড়িত হয়। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের আমলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বারবার সদয় দৃষ্টি কামনা করা হয়। কিন্তু আজ অবধি এ বিষয়ে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষকরা মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিটি দ্রুত সময়ে মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেব। ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার শিক্ষকদের দাবি মনে নেবে বলে আশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ড. আতিক মুজাহিদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় সদস্য মোল্লা ফারুক এহসান, জয়নাল আবেদিন শিশির, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আলী আক্কাস, মহাসচিব মহিউদ্দিন খন্দকার, আবুল কালাম আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।