ফতুল্লায় শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৩১৪ জনের নামে মামলা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাকিব (২৪) নামের এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী এবং ১৯৪জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় আরও ১১০-১২০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে নিহত রাকিবের পিতা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্ল মডেল থানা (ওসি) নুরে আজম মিয়া।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২০ জুলাই বিকালে শামীম ওসমানের নির্দেশে উল্লেখ্য আসামীদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং অনবরত গুলি বর্ষন করতে থাকে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের তাহাদের সুষ্ঠু ও ন্যায় দাবী থেকে বিতারিত করার জন্য গুলি বর্ষন করে ঘটনাস্থল হতে উৎখাত করার চেষ্টা করে। ওই সময় আমার ছেলে রাকিব (২৪) উক্ত স্থান অতিক্রম করাকালে কুখ্যাত সন্ত্রাসী অয়ন ওসমানের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে আমার ছেলেকে লক্ষ করে গুলি করলে, উক্ত গুলি আমার ছেলে রাকিব (২৪) মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। তখন স্থানীয় লোকজন এবং ঘটনাস্থলে মিছিলে থাকা অজ্ঞাত নামারা উক্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন এবং আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হইয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়িলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ছেলেকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
মামলায় আরও আসামী রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, এ. কে. এম শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, আবুল হাসনাত সহিদ বাদল, তানভির আহমেদ টিটু, এহসানুল হক নিপু, জাকিরুল আলম হেলাল, শাহ নিজাম, শাহাদাত হোসেন সাজনু, সাইফুল্লাহ বাদল, শওকত আলী, ফাইজুল ইসলাম, জাকির চেয়ারম্যান, আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, ফরিদ আহাম্মেদ লিটন, মোঃ গোলাম রাব্বী প্রান্ত, মুন্না, কাজল চৌধুরী, আজমত আলী, মোঃ সবুজ, সিহাব (২৩), শান্ত, আশরাফুল ইসলাম রাফেল প্রধান, হাবিবুর রহমান রিয়াদ, রেহান শরীফ বিন্দু, শ্যামল ওরফে দরী শ্যামল, আহাম্মেদ কাউসার, রাসেল আহাম্মেদ মাসুম, একেএম আবু সুফিয়ান, ভাবুল কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, জজ মিয়া, ইমাম হোসেন (৩৫), মোঃ সাখাওয়াত (৩৫), আরিফ হাসান, কামাল খান, সজীব, রাজিন, আনন্দ, আইয়ূব আলী, আপেল মাহমুদ, আয়ন (৩২), মোবারক হোসেন, শরীফ হোসেন শামীম, সানোয়ার হোসেন জুয়েল, শফিকুল ইসলাম চুন্ন (৫০), মোস্তফা কামালসহ ১৯৪জন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহতদের স্বজন কর্তৃক জেলার ৬টি থানায় এ পর্যন্ত ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি নিয়ে মামলার সংখ্যা দাড়ালো ১৭টি। এর মধ্যে ফতুল্লা থানায় ৪টি, আড়াইহাজার থানায় ২টি, রূপগঞ্জ থানায় ১টি, সদর থানায় ১টি, সোনারগাঁ থানায় ২টি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৯ জন, অজ্ঞাতনামা আসামি প্রায় ১ হাজার ৩৯০ জন। নিহত শরিফ, শফিক মিয়া, সুমাইয়া আক্তার, পারভেজ হোসেন, মো. বাবুল, ফয়সাল, শফিকুল ইসলাম শফিক, রোমান মিয়া, আবুল হোসেন, মনির, জনি, আবুল হাসান স্বজন, সোলায়মান, আশিক এর স্বজনরা বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।