ফরিদপুর-৩ আসন: আওয়ামী লীগের শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত শামীম হক ওরফে হল্যান্ড শামীমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। শুক্রবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ। নির্বাচন কমিশন সেই আপিল মঞ্জুর করেন। বুধবার ইসিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে তাঁর প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে শুনানি হয়। পরে শুনানি স্থগিত রেখে ইসি শুক্রবার রায়ের দিন নির্ধারণ করে।
শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। এমন অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য এ. কে. আজাদের পক্ষে আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া গত শুক্রবার আপিল আবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্তসহ লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল না করে বৈধ ঘোষণা করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘শামীম হকের নেদারল্যান্ডসের পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর-ইঊঝঐঈ৮৭৫১, জন্ম তারিখ ২১ অক্টোবর ১৯৬০ লেখা আছে। শামীম হক সম্প্রতি তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে এক দরখাস্ত দাখিল করেন। সেই দরখাস্তের ২৫ নং কলামে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬ নং কলামে অন্য দেশের নাগরিক থাকলে সেই দেশের নাম উল্লেখ করতে বলা হয়েছে, সেখানে তিনি নেদারল্যান্ডস উল্লেখ করেছেন। ২৭ নং কলামে তার নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট নম্বর ইণ৬০ঋ০ঔ৭৪ উল্লেখ করা আছে।’
সংবিধানের ৬৬ (২) (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।
সংবিধানের উক্ত অনুচ্ছেদের অনুরূপ বিধানই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১)(৬) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল কার্যক্রম চলেছে ৫-৯ ডিসেম্বর। এসব আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর। যা আজ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলার কথা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।