ফরিদপুরে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

ফরিদপুরে দুই সহোদর হাফেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা। এ ঘটনায় যারা জড়িত, যাদের জড়িত বলে স্থানীয় প্রশাসন শনাক্ত করেছে তাদের অচিরেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত পরিচয়পর্ব ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। তাদের গ্রেপ্তারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না– জানতে চাইলে কমান্ডার আরাফাত বলেন, একটা অপরাধ সংঘটনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেপ্তার হলেই সব বেরিয়ে আসবে।সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট বারবার পেছানো হচ্ছে। বিষয়টি বিচারিক প্রক্রিয়াতেই যায়নি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ও তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে র‌্যাব কী ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে– জানতে চাইলে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশে চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিবেশ তৈরির জন্য র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।

কোন বিষয়টিকে কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন– জানতে চাইলে কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার আগে যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন। ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করব। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করব।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভাল হয়ে গেল যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এ পর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই। র‌্যাব কেন, আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সবসময় চাই বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। প্রচুর কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূলে উৎখাত করব। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথবাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।