কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
ফ্রিজে পচা-বাসি খাবার সংরক্ষণ ও মিষ্টির পাত্রে তেলাপোকা থাকার অপরাধে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক রেস্তোরাঁকে ৫ হাজারসহ চারজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স মঙ্গলবার উপজেলার পান্টি ও বাঁশগ্রাম বাজারে এ অভিযান চালায়।
অভিযানে পান্টির তোজাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক তোজাম্মেল হককে ৫ হাজার, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় দোকানি মো. ফারুককে ৮ হাজার, নামের আগে ডাক্তার লেখা ও প্রেসক্রিপশন করায় পল্লিচিকিৎসক আব্দুল কাদের জাপানকে ৫ হাজার এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় বাঁশগ্রাম বাজারের চাল ব্যবসায়ী নাসির ট্রেডার্সের মালিক মো. নাসিরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল। তাঁকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি পরিদর্শক ফারুক হোসেন, কুষ্টিয়া টাস্কফোর্সের ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
অভিযান দেখতে কয়েকশ উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজটের। পরে আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জরিমানা ও শাস্তির ভয়ে শতাধিক ব্যবসায়ী দোকানে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। পান্টি ও বাঁশগ্রাম বাজারে গিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘অভিযান দেখতে বাজারে অনেকে এসেছে। আমিও এলাম। এসে দেখি, অনেক দোকান বন্ধ। তারা আগেই পালিয়েছে।’ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের ভাষ্য, ‘আমি এসে দেখলাম, হোটেলে পচা-বাসি খাবার, তেলাপোকা। ফার্মেসির ওষুধের মেয়াদ নেই। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।’
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়েছে। বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোয় নজরদারি করা হচ্ছে। পরে অভিযান চালানো হবে।