কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বন্যার কারণে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বেশিরভাগ রোগী শ্বাস কাশি, গলাব্যথা, বুকে ব্যথা, হাঁচিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) কুমিল্লার বুড়িচংয়ের বন্যাদুর্গত রাজাপুর ইউনিয়নের দুর্গম আশ্রয়কেন্দ্র লড়িবাগ প্রাইমারি স্কুলে চিকিৎসা সেবাদান শেষে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক তানভীর আহাদ জয় ও ডা. সাবরিনা মনসুর।
জানা গেছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কয়েকটি দল। এরই অংশ হিসেবে বুড়িচংয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকায় যায় এই টিম। ওই এলাকায় বন্যা শুরুর পর থেকে এটিই প্রথম মেডিক্যাল সেবাদানের টিম। এর আগে কোনও চিকিৎসক না যাওয়াতে এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই আক্রান্ত হয়ে পড়েন বিভিন্ন রোগে। ১০২ জন রোগীর মাঝে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। তারা ঠান্ডাজনিত বিশেষ করে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। এছাড়াও আছে পায়ের ও হাতের বিভিন্ন অংশে লোহা দিয়ে কাটা।
মেডিক্যাল টিমের সহযোগী ছিলেন, ঢামেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল বিন কাশেম, মোহাইমিনুল ইসলাম, আয়মান জাহিন আকিফ, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহমিদ জামিল।
এ ছাড়াও মেডিক্যাল টিমের যাবতীয় ব্যয় ভার বহন করেছেন কুমিল্লা জিলা স্কুল ৮৮ ব্যাচ। জিলা স্কুল ৮৮ ব্যাচের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরী ও মিয়া মো. তৌফিক।