ক্রীড়া ডেক্স:
অন্তর্র্বতীকালীন কোচ ফার্নান্দো দিনিজকে বরখাস্ত করলো ব্রাজিল। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল ফুটবলকে ‘না’ করে দেয়ার পরপরই ঘটলো এই ঘটনা। ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) এখন পূর্ণাঙ্গ একজন কোচ নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে।ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) এক বিতৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগেজ এরই মধ্যে বরখাস্ত করার বিষয়ে দিনিজকে জানিয়ে দিয়েছেন। অন্তর্র্বতীকালীন এই কোচকে বলা হয়েছে, ‘একজন পূর্ণাঙ্গ কোচ খোঁজার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয়ার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন কোচ তিতে। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত একজন পূর্ণাঙ্গ কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন আশায় বুক বেধেছিলো কার্লো আনচেলত্তিকেই প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেবে। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২০২৪ সালের মৌসুম শেষ হওয়ার পরই আনচেলত্তির চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এরপরই তিনি ব্রাজিল ফুটবল দলের দায়িত্ব নেবেন বলে চূড়ান্ত ছিল সবকিছু।
আনচেলত্তি আসবেন, এ ভরসায় গত জুলাইতে ফার্নান্দো দিনিজের সঙ্গে অন্তর্র্বতীকালীন কোচ হিসেবে চুক্তি করে নিয়েছিলো সিবিএফ। কিন্তু গত সপ্তাহেই আনচেলত্তি রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ফলে, রিয়ালের এই ইতালিয়ান কোচ যে আর ব্রাজিল ফুটবল দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন না এটা পুরোপুরি নিশ্চিত।অন্যদিকে, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খুবই বাজে অবস্থা ব্রাজিলের। টানা ব্যর্থতার কারণে আগামী বিশ্বকাপ নিয়েই শঙ্কিত ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কর্মকর্তারা। এ কারণে দিনিজকে বাদ দিয়ে দ্রুত নতুন কোচ নিয়োগ দেয়ার চিন্তা তাদের।
ফুটবল ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিবিএফ ফার্নান্দো দিনিজকে তার কর্মের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চায়। তার নিবেদন, সিরিয়াসনেস এবং ব্রাজিল ফুটবলকে তুলে ধরার যে চ্যালেঞ্জ, তাকে গ্রহণ করার মানসিকতা- সবকিছুর জন্যই তাকে ধন্যবাদ।’
ব্রাজিল সুপ্রিম কোর্টের এক সিদ্ধান্তে এডনাল্ডো রদ্রিগেজ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পূনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পরদিনই কোচ ছাঁটাইয়ের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। গত ৭ ডিসেম্বর রিও ডি জেনিরো হাইকোর্ট ২০২২ সালের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে এডনাল্ডো রদ্রিগেজ এবং তার সব সহকর্মীকে বরখাস্ত করেছিলো। তবে ফিফার হুমকি এবং নানা আইনী প্রক্রিয়া শেষে রদ্রিগেজ আবার স্বপদে ফিরে আসেন।