বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালে আকস্মিক ঝড়ে গাছ পড়ে শেখ মোহাম্মদ রজিত বিহারী (৭৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া নদীতে পড়ে এক কিশোর জেলে নিখোঁজ রয়েছে, আর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে এ ঝড় হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায়।
নিহত শেখ মোহাম্মদ রজিত বিহারী বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের রাঢ়ীমহল গ্রামের বাসিন্দা।
চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সুরুজ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফিরোজ গাজী ও রাঢ়ীমহল গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান আরিফ বলেন, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ফজরের নামাজ পড়ে স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ নিজের টিনের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধ রজিত বিহারী। এসময় হঠাৎ ঝড়ে তার ঘরের ওপর একটি চাম্বল গাছ উপড়ে পড়ে।
এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে স্ত্রী ও দুই সন্তান অক্ষত রয়েছে।
অপরদিকে হিজলা উপজেলার চরকিল্লা গ্রামের আবুল কালাম রাঢ়ীর ছেলে মাসুদ রাঢ়ি (১৮) মাছ ধরার সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। এঘটনায় তার বাবা আবুল কালাম রাঢ়ি হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
হিজলা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবিদ হাসান বলেন, মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে বাবা কালাম ও ছেলে মাসুদ ঝড়ো বাতাসে নৌকা উল্টে নদীতে পড়ে যায়। বাবাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অন্য জেলেরা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে ছেলে নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে ঝড়ে উপজেলার ২৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে উল্লেখ করে আবিদ হাসান আরও জানান, এছাড়াও বেশকিছু গাছ
ভেঙে পড়েছে। রাস্তার ওপর গাছ পড়ে থাকায় বরিশালের সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎের তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।
পিআইও আবিদ বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। হাসপাতাল চত্বরের বেশকিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালের এসিও ভেঙে পড়েছে।
এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় জানান, এদিন (১৫ জুন) সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট থেকে দমকা বাতাস বইতে শুরু করে। সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ২৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং ঘণ্টায় ৪৬ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে।