বস্তায় সফল আদা চাষ, ৫০ টাকা খরচে পূরণ হবে বছরের চাহিদা

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বস্তায় হচ্ছে আদা চাষ। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক এ আদা চাষে সফল বলছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। প্রতিটি বস্তায় আদা চাষে ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ হলেও ফলন হবে গড়ে দুই কেজির বেশি। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেকোনও ছায়াযুক্ত স্থানে বস্তায় আদা চাষ করা যাবে। প্রতিটি পরিবার পরিত্যক্ত স্থানে ৮-১০টি বস্তায় আদা চাষ করলে তার বছরের আদার চাহিদা পূরণ হবে।

সীতাকুণ্ড কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘এবার পরীক্ষামূলক বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছি। আট জন কৃষকের মাধ্যমে ৮০০ বস্তায় আদা চাষ করা হয়। বীজ, বস্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড কৃষি অফিস। গত মে-জুন মাসে এসব বীজ রোপণ করা হয়। আদার ফলন তুলতে ২৭০ থেকে ২৯০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। বস্তায় আদা চাষ ভালো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বস্তায় যেসব আদা চাষ করা হয়েছে তা স্থানীয় জাতের। বস্তায় দুই কেজি জৈব সারের পাশাপাশি মাটি-বালুসহ প্রয়োজনীয় কিছু বস্তায় ভরে এই চাষাবাদ করা হয়। বস্তা অনুযায়ী মাটি-জৈব সার দিতে হয়। একটি সিমেন্টের বস্তা দিয়ে চাইলে তিনটিও করা যাবে, আবার দুটিও করা যাবে।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সীতাকুণ্ডে পরীক্ষামূলকভাবে বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। আমাদের আওতাধীন ৮০০ বস্তায় এ আদা চাষ করা হয়। গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রতি বস্তায় দুই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বস্তায় আদা চাষে তেমন খরচ নেই। এভাবে আদা চাষের জন্য একটি সিমেন্টের বস্তা পাঁচ টাকা। তার ওপর মাটি এবং জৈব সার লাগে। সব মিলিয়ে খরচ প্রায় ৫০ টাকার মতো। যে কেউ বাড়ির আঙিনায় এবং পরিত্যক্ত ছায়াযুক্ত স্থানে বস্তায় আদা চাষ করতে পারে। প্রতিটি পরিবার ৮-১০ বস্তায় আদা চাষ করলে বছরের আদার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।’

এ প্রসঙ্গে আবু তাহের নামে উপজেলার নুনাছড়ি এলাকার এক কৃষক বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি এবার ১০০টি ব্যাগে আদা চাষ করেছি। পরীক্ষামূলক চাষ করেছি এবার। ফলন ভালো হলে আগামীতে চাষ আরও বাড়াবো।

তিনি আরও বলেন, আমার মতো উপজেলায় আরও অনেক কৃষক এবার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এপ্রিলের শুরুতে আদা রোপণ করতে হয়। আমরা রোপণ করেছি জুনে। আদা গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলনও ভালো হবে।