বাংলাদেশি নারী ধর্ষণের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২১

বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তারের পর ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া বিএসএফ সদস্যের নাম রামেশ্বর কয়াল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার রামেশ্বর কয়াল এবং ওই দুই নারীকে বনগাঁ জেলার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালত গ্রেপ্তার বিএসএফ সদস্যকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড দেন। বাংলাদেশের দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁরা বেআইনিভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন। তাই ১৪ ফরেনার্স আইনে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আর বিএসএফ সদস্যকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই বনগাঁর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ওই দুই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওই দুই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় বনগাঁ জেলার সরকারি হাসপাতালে।

জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় এক বাংলাদেশি নারী ও তাঁর বান্ধবী দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফের হাতে আটক হন। গত বুধবার রাতে তাঁদের আটক করে বিএসএফ। আটকের পর ওই দুই নারীকে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফের সাব ইন্সপেক্টর রামেশ্বর কয়াল। তাঁর নির্দেশে বিএসএফ সদস্যরা অভিযুক্ত দালালকে ধরতে অভিযানে বের হন। সে সময় ক্যাম্পে অবস্থানকারী রামেশ্বর কয়াল এক নারীকে ধর্ষণ করেন এবং অন্য নারীকে শ্লীলতাহানি করেন। ধর্ষণের পর ওই দুই নারীকে ছেড়ে দেন রামেশ্বর কয়াল। ছাড়া পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার গাইঘাটা থানায় এসে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন ওই দুই নারী। গাইঘাটা থানার পুলিশ গতকালই অভিযুক্ত রামেশ্বর কয়ালকে গ্রেপ্তার করে।

এই দুই নারীর বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়। তিন বছর আগে তাঁরা কাজের জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে গুজরাটে যান। সেখানে তাঁরা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। গত ঈদে তাঁরা বাংলাদেশে ফেরার উদ্যোগ নেন। পরিকল্পনা করেন এবার ঈদের আগেই তাঁরা বেআইনি পথে ফিরে যাবেন দেশে। তাঁরা দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হওয়ার উদ্যোগ নেন। দালাল তাঁদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ভারতীয় রুপি দাবি করেন। তাতে রাজি হয়ে যান ওই দুই নারী। কিন্তু দালালেরা জানান, ঈদের কারণে সীমান্ত পথে কড়াকড়ি। তাই ঈদের পরপর তাঁদের পাঠানো হবে বাংলাদেশে।