ক্রীড়া ডেস্ক:
ঘরের মাঠ, চেনা স্পিন উইকেট। তারপরও মিরপুর টেস্টে ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এই তিন ব্যাটারই বাঁ-হাতি। সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও নাজমুল শান্ত আউটও হয়েছেন প্রোটিয়া বোলার ওয়ান মুলদারে।
টেস্টে বাংলাদেশের দুঃখ যেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটিংয়ে ভরা টপ অর্ডার। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এরপর পাকিস্তান ও ভারত সফরের পর আবার হোমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও টপ অর্ডারের বাঁ-হাতি ব্যাটাররা ধসে গেছেন।
বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে ভালো বোলিং করেন, এমন একজন বোলার থাকলেই বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ধসে যায়! ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম ছয় ব্যাটারের পাঁচজনই বাঁ-হাতি ছিলেন। ওই বাঁ-হাতিদের আকাশ দ্বীপ, রবিশনচন্দন অশ্বিনরা সহজ লক্ষ্য বস্তু বানিয়ে আউট করেন।
ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারই ছিলেন বাঁ-হাতি। এর মধ্যে জাকির হাসান ও মুমিনুল হককে পরপর দুই বলে রাউন্ড দ্য উইকেটে কোণ তৈরি করে একই লেন্থে বল করে বোল্ড করেন ভারতীয় পেসার আকাশ দ্বীপ। তার আগে বাঁ-হাতি ওপেনার সাদমানকেও একই লেন্থে বল করে বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। নাজমুল শান্ত আউট হন অন্য ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সিরাজের বলে।
ভারতের স্পিনার রবিশচন্দন অশ্বিন বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বরাবরই ভোগান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি একাই ৬ উইকেট তুলে নেন। এর মধ্যে প্রথম ছয় ব্যাটারের চারজন অর্থাৎ সাদমান, মুমিনুল, সাকিব ও মুশফিক তার শিকার হন। কানপুর টেস্টেও সাদমান, জাকিরকে শুরুতে আউট করেন আকাশ দ্বীপ।
এর আগে পাকিস্তান সিরিজে প্রথম টেস্টে পেসার খুররম শাহজাদ টপ অর্ডারের বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বিপদে ফেলেন। ১০ উইকেটে জয় পাওয়া টেস্টে প্রথম ইনিংসে তিনি টপের ২ ব্যাটারকে তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায়। যার মধ্যে ৪ বাঁ-হাতি সাদমান, জাকির, শান্ত ও সাকিবকে একাই তুলে নেন খুররম।
এর আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বাঁ-হাতি ব্যাটারদের নিয়মিত বিপদে ফেলেন বিশ্ব ফার্নান্দো। প্রথম টেস্টে তিনি ৭ উইকেট নেন। যার ৩জন ছিলেন বাঁ-হাতি ব্যাটার। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি জাকির হাসান, নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামের পর মুমিনুল ও সাকিবকে আউট করেন। শ্রীলঙ্কার মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে আছেন মাহমুদুল হাসান। যে কারণে টপে বাঁ-হাতি ব্যাটার একজন কম। কিন্তু যে তিনজন আছেন নতুন বলে রক্ষা হয়নি তাদের।