বাফুফে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার সন্দেহ

প্রকাশিত: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক:

চার দিন পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এরই মধ্যে গতকাল হঠাৎ করে বাফুফে ভবনে যান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিসিবিতে বেশ কয়েকবার গেলেও উপদেষ্টা হওয়ার আড়াই মাসে এই প্রথম বাফুফেতে গেলেন তিনি। তাই তাঁর এ পরিদর্শনের ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে। আসন্ন বাফুফে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সে প্রশ্ন তুলে নতুন আলোচনারও জন্ম দিয়েছেন তিনি।

আধাঘণ্টার একটু বেশি সময় বাফুফে ভবনে ছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তাঁর এ পরিদর্শনের সময় সেখানে বাফুফের বিদায়ী নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। বাফুফে সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে বাফুফে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনিই নাকি বলে দিয়েছিলেন আসন্ন নির্বাচনের কোনো প্রার্থী, এমনকি বিদায়ী নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্যও যেন তাঁর পরিদর্শনের সময় না থাকেন।
তবে ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা এবং কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি, ‘আগের কাউন্সিলরদের প্রায় সবাইকে স্ব স্ব স্থানে বহাল রেখে নির্বাচনের বিপক্ষে আমি। আগের যে রাজনৈতিক দুষ্টচক্র খেলাধুলাকে নিয়ন্ত্রণ করত, যাদের সঙ্গে খেলাধুলার ন্যূনতম সম্পর্ক নেই, তারা এখনও ফুটবল ফেডারেশনে রয়ে গেছে। আমার জানামতে, বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর পলাতক আছেন। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। শুনেছি, কোনো কোনো প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এ কারণে নির্বাচক কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা জানি না।’ তবে বাফুফে যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং ফিফার নিয়মে চলে, তাই এই প্রক্রিয়াকে সম্মান দেখাতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর সব জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে (ডিএফএ) হাত দিতে পারেননি। ২০০৮ সালে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বের হয়ে বাফুফে ডিএফএ গঠন করে। এখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো এখতিয়ার নেই। এই ডিএফএ বাফুফে নির্বাচনে একপক্ষের ভোট ব্যাংক হিসেবে কাজ করে।
এদেরও সমালোচনা করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘ভোট আসলেই ডিএফএগুলো সরব হয়। জেলা পর্যায়ে নিয়মিত লিগ হয় না। এর দায় এতদিন বাফুফেতে যারা ছিল, তাদেরই দেব।’ দেশের ফুটবলে পৃষ্ঠপোষক না আসা এবং ফুটবলের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার জন্যও বাফুফেকে দায়ী করেছেন তিনি।