বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ২৫ বছর পর বিচার দাবি

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়সা-খাসকররা গ্রামে ২৫ বছর আগে রহিম বকস ও তার ছেলে শফিউল ইসলাম খুনের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী এস এ হৃদয়। তিনি নিহত শফিউল ইসলামের ছেলে।

শনিবার (২৬ সেপ্টম্বর) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আলমডাঙ্গা থানা আমলী আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন বাদী। আসামিরা চরমপন্থি দলের সদস্য বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার অহিদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলী নাজনীন বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সাক্ষীদের জবানবন্দি লিখিতভাবে রেকর্ড করে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা দুজন হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামের মো. বাবলুর রহমান ও খেজুরতলা গ্রামের মো. মুঞ্জুর আলী। ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।

মামলার বর্ণনায় বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা এলাকার চরমপন্থি দলের সদস্য। শফিউল ইসলাম ছিলেন রায়সা জামে মসজিদের ইমাম এবং তার বাবা রহিম বকস প্রামাণিক এলাকার ধনাঢ্য ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

এজাহারনামীয় দুই আসামি ঘটনার কয়েক মাস আগে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে বাবা–ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে তারাবিহর নামাজের ইমামতি করা অবস্থায় সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এরপর এজাহারনামীয় দুই আসামি শফিউলকে বাড়ির উঠানেই রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন। ওই সময় রহিম বকস এগিয়ে এলে তাকেও গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর সব আসামি ফাঁকা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। যা নিয়ে ওই সময় স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়।

২৫ বছর পর মামলা করার প্রসঙ্গে বাদী এস এ হৃদয় উল্লেখ করেন, পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় বাদী এবং তার পরিবারের লোকজন এতদিন মামলা করতে সাহস পাননি। বর্তমানে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের আমলে দেশে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকায় বাদী বিচারের আশায় মামলা করছেন। বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হলো।