আমিনুল ইসলাম বাবু:
স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন মেয়ে মোছা. মুসকান আক্তার (১৮)। কিন্তু নিষ্ঠুর নিয়তি তাকে আর যেতে দেয়নি। পথিমধ্যে স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় গলার ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ হারায় মুসকান। তার এমন মৃত্যুতে গোটা পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাওয়ের উলুকান্দি এলাকায়। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিউজ পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মুসকান আক্তারকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহতাবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন তার স্বামী মহসিন মিয়া। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তার দেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বামী মহসিন মিয়া তাকে জানিয়েছে, তিনি তার মোটরসাইকেলে স্ত্রী মুসকানকে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। তার মোটরসাইকেলটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার উলুকান্দি এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করেই পরিধেয় ওড়না বাতাসে উড়ে চাকায় পেঁচিয়ে যায়। এতে পেছন থেকে তার স্ত্রী মুসকান রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তিনি তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে আনলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই বাচ্চু মিয়া আরও জানান, তার মৃত্যুও বিষয়টি তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের পরামর্শে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ স্বামীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের স্বামী মহসিন মিয়া নিউজ পোস্টকে বলেন, আজ শুক্রবার আমার অফিস ছুটি ছিলো। তাই আমি আমার নিজ বাসা থেকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি (মুসকানের বাবার বাড়ি) যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মুসকান। পরে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।