বার্সার ‘বৃহস্পতি’ এখন তুঙ্গে!

প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

রিয়ালকে হারতে হবে, মাদ্রিদ ডার্বি ড্র হতে হবে এবং নিজেদের জিততে হবে; এর কোনোটি এদিক-ওদিক হয়ে গেলেই লাইনের পেছনে গিয়ে দাঁড়াতে হতো তাদের। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে কাতালানদের ভাগ্যের বৃহস্পতি যেন তুঙ্গে।

বার্সেলোনার সৌভাগ্যের দ্বার খুলে রিয়াল মাদ্রিদ ২ ফেব্রুয়ারি এস্পানিওলের কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। শনিবার মাদ্রিদ ডার্বিতে এমবাপ্পেরা পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে এবং তার পর রোববার রাতে ১০ জন নিয়েও বার্সেলোনা তাদের গোল উৎসব ধরে রাখল সেভিয়াকে ১-৪ গোলে হারিয়ে। এই তিনটি ম্যাচেই ওলট-পালট লা লিগার পয়েন্ট টেবিল। যেখানে কিছুদিন আগেও বার্সার সঙ্গে শীর্ষস্থানে থাকা দলের ৯ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল। সেখানে এখন ঢিল ছোড়া দূরত্বের ব্যবধান ২ পয়েন্টের।

নিশ্চয় ভীষণ খুশি বার্সার জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক, তবে তাঁকে এতদিনে যারা চিনে নিয়েছেন, তারা অন্তত এটা জানেন তৃপ্ত তিনি এত সহজে হন না। ‘লিগে যে চার-পাঁচটি দল ভালো করছে, তাদের মধ্যে আমরা রয়েছি। লিগে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। তাই এই ছন্দটা ধরে রাখাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।’

ছন্দটা বার্সার শুরু হয়েছে গত মাসে জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ধরাশায়ী করার পর থেকেই। দলের দুই গোল মেশিন লেভানডস্কি ও রাফিনিয়াও ছুটছেন ঝড়ের বেগে। এদিন সেভিয়ার মাঠে ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন লেভানডস্কি।

প্রথমার্ধে ১-১ গোলের ম্যাচের পরবর্তী সময়ে শুধুই বার্সার আধিপত্য। বদলি নেমে গোল করেন ফের্মিন লোপস। বাকি গোল দুটি করেন রাফিনিয়া ও গার্সিয়া। পরিসংখ্যান বলছে, এই মৌসুমে সব আসরে বার্সা যে ১১৩টি গোল করেছে, তার মধ্যে লেভার গোল সংখ্যা ৩১ এবং রাফিনিয়ার ২৪। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক গোলই এসেছে এই দুই মেশিন থেকে। লা লিগায় ১৯ গোল করে এই মুহূর্তে শীর্ষে আছেন লেভা, ১৬ গোল করে রিয়ালের এমবাপ্পে দ্বিতীয়তে আর ১৩ গোল করে রাফিনিয়া তৃতীয়তে।

এদিন ম্যাচে বার্সার মূল চ্যালেঞ্জ ছিল অবশ্য লোপেসের লাল কার্ড দেখা। রেফারি প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআরের রায়ে পরে লাল কার্ড দেখান। আর ম্যাচের পরবর্তী ১০ মিনিট ১০ জনকে নিয়ে লিড ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে পড়ে বার্সা। আর এখানেই কোচ ফ্লিকের ৪-৪-১ কৌশল সফল হয়। শুরুতে তিনি একাদশ সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১ ফরমেশনে, একজন খেলোয়াড় কমে গেলে পরে তাঁকে মাঝমাঠে কৌশলী হতে হয়। ‘যেভাবে আমরা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পেরেছি, তাতে খুশি আমি। ১০ জন নিয়ে এই ফরমেশনে খেলাটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় ব্যাপার ছিল এবং এই ফরমেশনে আমরা চতুর্থ গোলটি সেট পিসে করতে পেরেছি।’ দারুণ এক সপ্তাহ কাটানোর পর দলের সবাইকে তিন দিনের বিশ্রামের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কারণ সামনে বড় সব পরীক্ষায় নামতে হবে তাদের।