বিএনপি-জামায়াত ২০০৬ সালে ভুয়া ভোটার তালিকা করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে: সজীব ওয়াজেদ

প্রকাশিত: ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জনমনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি তীব্র ঘৃণাবোধ সৃষ্টি হওয়ায় ২০০৬ সালে অগণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনে জয় লাভ করতে বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী ১ কোটি ২৩ লাখ মানুষের নাম যুক্ত করে ভুয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (২৪ জুলাই) ৮টা ৩০ মিনিটে নিজ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক তথ্য চিত্রের মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।

সজীব ওয়াজেদ শেয়ার করা ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশের সর্বস্তরের মানুষের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, দুর্নীতি করে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে বিএনপি-জামায়াত জোট। এমনকি তাদের এই পাঁচ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবারই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি তীব্র ঘৃণাবোধ সৃষ্টি হয় জনমনে।

তথ্যচিত্রে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের খণ্ডাংশ দেখিয়ে বলা হয়, ২০০৬ সালে ভুয়া ভোটার তালিকা করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে বিএনপি-জামাত। ২০০১ সালে ইতিহাসের ভয়াবহ সহিংস নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামাত জোট। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় দেশজুড়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন ও হত্যা, চাঁদাবাজি দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে তারা। এমনকি তাদের এই পাঁচবছরের শাসন আমলে বাংলাদেশ টানা ৫বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়।

মূলত ক্ষমতার যাচ্ছেতাই ব্যবহারের ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি জনমনে তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি হয় বলে জানানো হয় এই ভিডিও বার্তায়। এ কারণে আবারও গণতন্ত্র উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভীত হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত নেতারা।

তথ্যচিত্র অনুসারে, এমন এক পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আরও অপব্যবহারের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হতে তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে তৈরি করে তাদের নিজস্ব সংশোধিত ভোটার তালিকা।

সেখানে আরও দেখানো হয় কিভাবে প্রতিটি উপজেলায় নিজ দলের ক্যাডারদের নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় বিএনপি জামায়াত গোষ্ঠী। কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি তালিকার মাধ্যমে এই নিয়োগ দিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করে খালেদা জিয়া সরকার।

সংবিধানের তোয়াক্কা না করে ৩০০ ছাত্রদল ক্যাডারকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে বিএনপি জামায়াতের নিয়োগ প্রদানের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে। তথ্যচিত্রে সে সময়কার বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের খণ্ড দেখিয়ে এ মন্তব্য করা হয়।